চট্টগ্রামের প্রবাদ প্রবচন : শিমুল বড়ুয়া (প্রবচন -২০১৭)

চট্টগ্রামের প্রবাদ প্রবচন : শিমুল বড়ুয়া (প্রবচন -২০১৭)
বিষয় : প্রবচন
লেখক : শিমুল বড়ুয়া
সংস্করণ : 1st Published, 2019
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 184
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : 9789849290148

যে-কোনো জনপদের লোকসংস্কৃতি-লোকসাহিত্য ভাষাকে সমৃদ্ধ করে। সাহিত্যের ভেতর-বাইরে থাকে ঐ অঞ্চলের মৌখিক কিছু রীতি ও ঘটনা। কিছু রীতি-পরম্পরায় হয়ে যায় স্মৃতির সংস্কৃতি। লোকসংস্কৃতির অন্যতম উপাদান প্রবাদ-প্রবচন। যা সমাজের শৃঙ্খলা এনে দেয়, পারিবারিক বন্ধনগুলো তৈরি করে দেয়। একটা গভীর জীবনধারায় মানুষকে যাপনে সহায়তা করে। এই প্রবাদ-প্রবচন জনপদ থেকে জনপদে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে কিংবা একই পথে একই অর্থবোধক হয়ে উঠে। এতে ধর্ম-সম্প্রদায়, আর্থ-সমাজ সংস্কৃতির উপাদান লক্ষণীয়।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানুষের বসবাস পাহাড়, নদী ও সমুদ্র পরিবেষ্টিত এলাকায়। এখানকার লোকসাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুরনো কিছু প্রবাদ-প্রবচন নিয়ে শিমুল বড়ুয়া'র চট্টগ্রামের প্রবাদ-প্রবচন বইটি। যা লোকসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জনশ্রুতি ও লোককথা থেকে সংগৃহীত। এই বইয়ের বিশেষত্ব হচ্ছে, লুপ্তপ্রায় যা এখন ব্যবহার হয় না এমন প্রবাদ-প্রবচনও এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে এই প্রবাদ- প্রবচনগুচ্ছ দুর্দান্ত ও সমসাময়িক তদুপরি শিমুল বড়ুয়া তাঁর গবেষণায় বিষয়ভিত্তিক ৫৩টি বিভাজন, ভাবার্থ-মর্মার্থ প্রদান ও অন্য ভাষাভাষীর নিকট দুর্বোধ্য চট্টগ্রামী বাংলার প্রমিত অর্থ সংযোজন করেন। নিঃসন্দেহে এই কাজ সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় আমাদের সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে বলে আশা করছি।
....
মনিরুল মনির

শিমুল বড়ুয়া :
জন্ম: ১৮ জানুয়ারি ১৯৬৬, রাউজান, চট্টগ্রাম।
পিতা: প্রয়াত ভূপতি রঞ্জন বড়ুয়া, মাতা: নীহারকণা বড়ুয়া।
চট্টগ্রাম কলেজে প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সান্নিধ্যে আসার পর অনন্যনিষ্ঠ লেখক-গবেষক দুরদৃষ্টিসম্পন্ন সমাজ-সংস্কৃতিকর্মী অধ্যাপক শিমুল বড়ুয়ার চেতনায় রোপিত হয় প্রাগ্রসর চিন্তার বীজ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। গত শতকের শেষ দশকের শুরুতে অধ্যাপনাজীবন শুরুর পর লেখায় হাত দিলেন; বস্তুত ইতিহাস-ঐতিহ্যঋদ্ধ সংস্কৃতিজগতে বিচরণ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বর্তমানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডস্থ লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বরত আছেন।
ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আয়োজিত সম্মেলন-সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। 'বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি'র বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রকল্পের অধীনে গবেষক হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার প্রবাদ-প্রবচন সংগ্রহের কাজ এবং উপজেলাভিত্তিক সাংস্কৃতিক সমীক্ষার কাজ সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত আছেন।

রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ:
১. অনোমা রজতজয়ন্তী স্মারকগ্রন্থ
(২০০৮),
২. কবিয়াল ফণী বড়ুয়া স্মারকগ্রন্থ (২০১০),
৩. ছড়াসাহিত্যিক সুকুমার বড়ুয়া সম্মাননাগ্রন্থ (২০১১),
৪. করুণাঘন, ধরণীতল কর' কলঙ্কশূন্য (রবীন্দ্রমননে-সৃজনে বুদ্ধ) (২০১১),
৫. বাংলার বৌদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি (২০১২),
৬. চাটগাঁ ভাষার রূপ-পরিচয় (যৌথ স.) (২০১২),
৭. চিরঞ্জীব বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ (যৌথ স.) (২০১৪),
৮. ভারততত্ত্ববিদ আচার্য ড. বেণীমাধব বড়ুয়া স্মারকগ্রন্থ (২০১৪),
৯. কর্মযোগী কৃপাশরণ মহাস্থবির স্মারকগ্রন্থ (২০১৫),
১০. রবীন্দ্রজীবনে ও সাহিত্যে চট্টগ্রাম (২০১৬),
১১. চট্টগ্রামের প্রবাদ-প্রবচন (২০১৭)।
পুরস্কার:
'বাংলার বৌদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি' গ্রন্থের জন্য জাতীয় পর্যায়ে 'আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার- ২০১২' লাভ।