সংবাদপত্র ও পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন
বিষয় : ভাষা আন্দোলন গবেষণা
লেখক : মোহাম্মদ জমালুল আকবর চৌধুরী
প্রচ্ছদ : মনিরুল মনির
সংস্করণ : মে ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৮৮
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯৩৪২৯-২-২
সংবাদপত্র ও পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন (১৯৪৮-১৯৫২)-গ্রন্থটি আমার এম. ফিল, অভিসন্দর্ভের ফসল। আমার এই গবেষণা অভিসন্দর্ভের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। সীমাহীন ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে এই গবেষণাকর্ম সম্পাদনে তিনি বার বার তাগাদা দিয়ে উৎসাহিত করেছেন। আমি এই গবেষণাকর্মে নিয়োজিত থাকাকালে ইতিহাস বিভাগের আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ প্রয়াত প্রফেসর ইমেরিটার্স ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. আবদুল করিম, প্রফেসর ইমেরিটার্স ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. আলমগীর মোঃ সিরাজুদ্দীন, প্রফেসর ড. মাহমুদুল হক, প্রফেসর ড. এ. এম. এম. সাইফুদ্দিন খালেদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ, প্রফেসর ড. ইমরান হোসেন, প্রফেসর বকুল চন্দ্র চাকমা, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মাসুম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, প্রফেসর ড. শামীমা হায়দার, জনাব ড. সালমা বিনতে শফিক, জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম, জনাব ড. শওকত আরা বেগম, জনাব আনন্দ বিকাশ চাকমা, জনাব নাজিফা রশিদ, জনাব সৈয়দা জান্নাতুল আছরার, জনাব রন্টু দাস, জনাব গোলাম কদ্দুছ লাভলু, জনাব কানিজ ফাতেমা, জনাব ফারহানা আজিজ, জনাব দেবাশীস কুমার প্রামাণিক প্রমুখ সবসময় উৎসাহ ও উপদেশ দিয়েছেন। বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দের পরোক্ষ সহযোগিতার জন্য আমি তাঁদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক স্যারের সহযোগিতার জন্য আমি চিরঋনী। বিশেষভাবে করে বর্তমানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম স্যার অত্যন্ত ব্যস্ত সময়ের মাঝেও আমার গবেষণাকর্মে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে আমাকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। ভারতের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. রঞ্জন চক্রবর্তী স্যার-এর পরোক্ষ সহযোগিতার জন্য আমি চিরঋনী হয়ে থাকব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক স্যার সর্বপ্রথম আমার অভিসন্দর্ভটিকে পরিমার্জিত ও বই হিসাবে প্রকাশে উপযোগী করে দিয়েছিলেন যার জন্য আমি চিরঋণী। আবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও প্রফেসর ড. নূরুল কাইয়ূম স্যারের সহযোগিতা অনস্বীকার্য। ইতিহাস বিভাগের কর্মকর্তা জনাব হারুন ও সেমিনার লাইব্রেরিয়ান সমীর কান্তি মোহরের, কালাম, নেছার, জাফর প্রমুখের সহযোগিতা ভুলার নয়।
এই গবেষণা সম্পন্ন করতে কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি এবং এর দুষ্প্রাপ্য বইপত্র শাখা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার, প্রেস গবেষণা ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-এর গ্রন্থাগার, বাংলাদেশ আর্কাইভ-এর গ্রন্থাগার, ঢাকা, আই. বি. এস. গ্রন্থাগার ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর গ্রন্থাগার, রাজশাহী, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আমার গবেষণাকর্মের তথ্যসমূহ অনুসন্ধান করেছি এবং অনেক দুষ্প্রাপ্য পুস্তক, পত্র-পত্রিকা, নথি ও দলিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। আমি আজীবন চিরঋণী আমার শ্রদ্ধেয় পিতা নূরুল হক ও মাতা মনোয়ারা বেগম চৌধুরী'র কাছে। তাঁরা আমার উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা ছাড়া আমি আজ এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না। আমার শ্বশুর এম. এ. আসগর খান ও শাশুড়ি জাহানারা বেগম এবং ইলিয়াস মামা, আশিক ভাই, ভাবি নাজমা পারভীন, মনি আপা ও হেলাল ভাই, নিলুফার ও আরেফিন ভাই সর্বদা আমার গবেষণার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে উৎসাহিত করেছেন। তাছাড়া, পাণ্ডুলিপি রচনার সময় আমার স্ত্রী নুসরাত জাহান খান (এলিজা) সাংসারিক দায় দায়িত্ব গ্রহণ করে কাজটিকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সুযোগ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি তালিম-তানিশা এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য মোহাম্মদ জাহিদুল হক, কুসুম, মোহাম্মদ আনিসুল হক, সামিরা, জোবাইদা খানম চৌধুরী, মেজর রাশেদুল হাসান-সবাই আমার প্রেরণার উৎস। এছাড়া বইটির পান্ডুলিপি কম্পোজে আশীষ ভাই ও জাকিউলকে ধন্যবাদ জানাই।
আলোচ্য গ্রন্থের কোনো কোনো পত্রিকার মূল ফাইল অথবা একই গ্রন্থাগারে এক পত্রিকার পুরো ফাইল খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে আমাকে অন্য উৎস যেমন-বশীর আল্লোল, সুব্রত শংকর ধর, বদরুদ্দীন উমর, নূরুল ইসলাম, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী এবং সমসাময়িক অপরাপর লেখকের সংকলন থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে। আমি এই সীমাবদ্ধতার দায় গ্রহণ করছি। পরিশেষে, গ্রন্থটি সাংবাদিকতা ও ইতিহাস বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণায় সহায়ক হলে আমার পরিশ্রম সার্থক বলে মনে করব।
....
মোহাম্মদ জমালুল আকবর চৌধুরী
সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
মোহাম্মদ জমালুল আকবর চৌধুরী :
জন্ম ১৯৭৭ সালের ২৫ নভেম্বর কক্সবাজার জেলায়। বাবা মরহুম নূরুল হক ও মাতা মনোয়ারা বেগম চৌধুরী। বনানী বিদ্যা নিকেতন, ঢাকা থেকে এস.এস.সি. ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা থেকে এইচ.এস.সি. পরীক্ষা পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস থেকে বি.এ. (সম্মান) ও এম. এ এবং এম.ফিল, ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করে শিক্ষকতা আরম্ভ করেন। বর্তমানে তিনি একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
এ পর্যন্ত তাঁর ১০টি গবেষণা প্রবন্ধ বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর গবেষণার বিষয় সংবাদপত্র এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস।