পৌরহিত্যবাদের জন্মান্তর বনাম বুদ্ধের শিক্ষা
বিষয় : সম্পাদিত বই
লেখক : চন্দন রিমু
প্রচ্ছদ : চারু অর্পিতা
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০০
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯২৯০২-৪-৭
প্রখর যুক্তি ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে আলোড়িত হয়েছে বুদ্ধের শিক্ষার প্রধান সেই সুরটি- এতদিন যা চাপা পড়েছিলো জন্মান্তরবাদ- পূজার্চনা-পৌরোহিত্যপ্রথার অলৌকিক ঘটনাবলির মিশ্রণ ও মোড়কে।
হৃদয় ও চৈতন্য-আলোকে গ্রহণ-বর্জনে সক্ষম আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সকল মানবসন্তানের প্রতি নিবেদিত হয়েছে বদ্ধমূল বিষয় পুনর্বিবেচনার অবরুদ্ধ স্রোতকে উন্মুক্ত করার আহ্বান।
বুদ্ধ শিখিয়েছেন, ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান- বিশ্বাস-অবিশ্বাস এমনকী প্রিয়-অপ্রিয় বিষয়বস্তু যখন আমিত্বের অহমিকাবোধ-সংযুক্ত হয়, তখন আমরা অবিদ্যার জনক-জননী হয়ে উঠি। অর্থাৎ- মিথ্যাধারণার জন্ম দিতে থাকি। প্রিয় ও অপ্রিয় আমিত্ববোধের অহমিকা থেকে আমাদের দুঃখ উৎপন্ন হতে থাকে।
অন্তর্গত প্রেরণায় মানুষ অনন্য মানব হতে পারে। এতে ঈশ্বর-আত্মা- জন্মান্তরসহ অলৌকিক আশীর্বাদ ও অভিশাপের ভূমিকা নেই। মূলত এসব কিছু আমাদেরই মিথ্যাধারণা থেকে উৎপন্ন।
ব্যক্তি থেকে বিশ্বব্যাপী স্বার্থপর সংঘাত, আমিত্ব-অহমিকাবোধ নির্মূলের উৎকৃষ্ট পন্থা: প্রেম ও প্রজ্ঞাগুণ বর্ণিত হয়েছে সুনিপুণভাবে।
এ গ্রন্থ কাউকে আঘাত দেওয়ার মানসে নয়, মিথ্যা ধারণামুক্ত, মানবমুখী বুদ্ধের মহামানবসত্তা ও তাঁর মহান শিক্ষাকে যথাযোগ্যরূপে উন্মোচনই এর মূল লক্ষ্য।
চন্দন রিমু :
জন্মস্থান: হাটহাজারী উপজেলা অন্তর্গত গ্রাম গুমানমর্দন, চট্টগ্রাম
মাতা: রত্না বড়ুয়া
পিতা: শাক্যপদ বড়ুয়া
তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবিতা দ্বিখণ্ডিত চাঁদ (২০০৯)
প্রবন্ধ
বাংলাদেশ শ্রামণীসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা এবং নারীইচ্ছার স্বাধীনতা ও মানবাধিকার (২০১৩