প্রমা ও লাবণ্যে : অভীক ওসমান সম্মাননাগ্রন্থ (সম্মাননাগ্রন্থ-২০১৯)

প্রমা ও লাবণ্যে
বিষয় : সম্মাননাগ্রন্থ
লেখক : অভীক ওসমান
প্রচ্ছদ : খালিদ আহসান
সংস্করণ : নভেম্বর ২০১৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২২৩
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৮০৫২-৫৪-৯

প্রমা ও লাবণ্যে অভীক ওসমান :
১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারির এক প্রাতে দোভাষীদের লঞ্চে করে এক কিশোর নগরে প্রবেশ করে। পেছনে ফেলে আসে তার শঙ্খ তীরবর্তী জনপদ, জননী। ঠিক তখনি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে কড়াই তপ্ত হচ্ছিল।
তারপর দেশ কৃষ্টি গ্রন্থ বিরোধী আন্দোলনে পথে নামা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ। স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, অর্থনৈতিক সমতার স্বপ্নে কিশোরের আর ঘরে ফেরা হয়নি।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত হবার মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডির পুরো পাল্টে দিল তার জীবনকে। রাজনীতির রুদ্ধ সময়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনের ক্যামেফ্লেজ তার নাটক লেখা। তার প্রথম নাটক তিরোহিত সুন্দর আমার সমাজের সুন্দরটা তিরোহিত হয়ে গেছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় এক মাইলফলক তৈরি করেন অবশেষে জেনারেল। যা বাংলাদেশের গণ-আন্দোলনে অনুপঙ্খ ইতিহাস।
গত শতাব্দীতে কবিতা, নাটক ও গবেষণায় অভীক ওসমানের বৃহস্পতি ছিল তুঙ্গে। বিস্ময়ের ব্যাপার একবিংশ শতাব্দীতে এসে তার উৎকর্ষতায় ভাটা পড়েনি। নগর ও দেশের উন্নয়ন, অর্থনীতির চাকার দুরন্ত চলাকে তার লেখনিতে ও গবেষণায় দুর্দান্তভাবে এসেছে বারবার। এখানকার রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার বহুমাত্রিক জীবন প্রয়াসে এসেছে। তার নাটক, লেখালেখি ও জীবনযাপনে বহুরকমভাবে তার সরব উপস্থিতি আমাদের প্রাণিত করে।
তিনি কবি। আবেগের অশ্বারোহী অসম্ভব রোমান্টিক, তার তিনটি কবিতার বইয়ে প্রতিফলিত আছে।
যে মানুষ প্রাণ ছুঁয়ে যান তিনি নগর-বন্দরে মিশে থাকেন, তাকে এই সময়ের কাছে সমবেত করছি এই গ্রন্থে।
¦¦¦¦
নাজিমুদ্দীন শ্যামল
মনিরুল মনির