ধাঁধা: বাঙালির লোকজ সাহিত্য
বিষয় : ধাঁধা
লেখক : কামরুজ্জামান সেলিম
প্রকাশক : খড়িমাটি
প্রচ্ছদ : কাশিফ আহমাদ ও কাশফিয়া জামান
প্রথম সংস্করণ : ২০২১
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৩৬
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
ISBN : 978-984-8241-37-0
বাঙালির লোকজ সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হচ্ছে ধাঁধা। ধাঁধা জিজ্ঞাসার এই নীতি সম্ভবত: আদিম যুগ থেকে প্রচলিত। শিশু-কিশোরদের হাসি-খুশির অন্যতম উপকরণ এই ধাঁধা কখনো কখনো বয়োবৃদ্ধদের মাঝেও দাপিয়ে বেড়ায়। মূলত: ধাঁধা হচ্ছে এক ধরনের বুদ্ধির খেলা এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে হাস্য-রসে মেতে ওঠা। এর অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে- ধাঁধা সমিল এবং অমিল দুই ধরনেরই হতে পারে। কখনো কখনো আবার কাহিনির আকারেও হতে পারে। এমনকি অক্ষর ও অঙ্কের খেলা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত। ধাঁধার মূল উপজিব্য বিষয় হচ্ছে- ফুল-ফল, পশু-পাখি, খাদ্যদ্রব্য এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাবলি ও তৈজসপত্রাদীকে কেন্দ্র করে, যা গ্রাম বাংলার আনাচে- কানাচে মানুষের মুখে মুখে বিচরণ করে। অতএব, ধাঁধা আমাদের বাঙালির লোকজ সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি।
ময়মনসিংহ জেলার কিছু গ্রাম, হাট-বাজার ও স্থানকে এই ধাঁধার আসরের গ্রন্থে সংযোজনের চেষ্টা করেছি। যেমন- শুড়ের পাড়, মেহেরগ্রাম, নয়ানবাড়ী, মণ্ডলবাড়ী, বালাশ্বর, তেলিগ্রাম, নয়াবিলা, সারুটিয়া, বৈদ্যবাড়ী, উজলহাটি, বালিয়ান, রামখিলা, বাসনা, বরুকা ও দত্তপাকুটিয়া গ্রামসহ দশমাইল বাজার, নতুন বাজার, টাউনের বাজার এবং মোহাম্মদ নগর নামক স্থানকে। এই জেলার বেশ কিছু গ্রাম, হাট-বাজার ও স্থানকে সাহিত্যের পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা বোধ করি এটিই প্রথম।
কামরুজ্জামান সেলিম :
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ সালে (০৮ ফাল্গুন) রবিবার, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দত্তপাকুটিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পিতা মরহুম তৈয়ব উদ্দিন আহমদ (মাস্টার) এবং মাতা মরহুমা শামছুন নাহার বেগমের পুত্র। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও মোহাম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবেদ আলী মাস্টারের দৌহিত্র।
লেখালেখি তিনি দেশের জাতীয় দৈনিক যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলার বাণী, মুক্তকণ্ঠ, ইনকিলাব, দিনকাল, খবর, দেশবাংলা, খবরপত্র প্রভৃতি পত্রিকাসহ সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমকালীন বিষয়ে অর্ধ শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধের পাশাপাশি গল্প ও কবিতা লিখেন।
সংস্কৃতিকর্মী: সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক নাট্য সংগঠন নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়ের নাট্যকর্মী হিসেবে নান্দনিক প্রযোজিত সালতিকভ শ্চেদ্রিনের 'দুই হুজুরের গপ্পো', হুমায়ুন আহমেদ-এর প্রথম মঞ্চ নাটক 'নৃপতি', উইলিয়াম শেক্সপিয়রের 'হ্যামলেট', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শাস্তি', আন্তন চেখভের 'গিরগিটি' (পথ নাটক) প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেন। তিনি দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে প্রায় একযুগ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব ও থার্ড থিয়েটারের জনক বাদল সরকার, লন্ডনের ওয়াইক ইউনিভার্সিটির নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক মি. ক্লাইভ বার্কার এবং জার্মানীর বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মিসেস বারবারা মান্ডেল-এর কাছে নাট্য বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ দেশের বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বের কাছে নাট্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত একজন নাট্যশিল্পী।
আবৃত্তিপ্রেমী এই লেখক জাতীয় কবিতা উৎসব, বিশ্ব কবিতা দিবস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, পাবলিক লাইব্রেরি শাহবাগ, রমনার বটমূল, বাহাদুর শাহ পার্ক, ময়মনসিংহ টাউন হল, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের ডিসি হিলের নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করে আসছেন। গীতাঞ্জলীর ব্যানারে জি-সিরিজ অগ্নিবীণা প্রযোজিত তার অডিও-ভিডিও আবৃত্তির অ্যালবাম 'হঠাৎ দেখা'। সংগঠক সংগঠক হিসেবে তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যালামনাই এসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার
সমিতি ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।
শিক্ষা: দত্তপাকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরাবাদ কলেজ ময়মনসিংহে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনসহ ইসলামের ইতিহাস ও কৃষ্টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরিবার: স্ত্রী খাদিজা বেগম মুক্তা, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজি), মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা। পুত্র কাশিফ আহমাদ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ও কন্যা কাশফিয়া জামান চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
পুরস্কার: গবেষণামূলক প্রবন্ধ সাহিত্যে "অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক সম্মাননা অর্জন।