শিরোনাম : গ্রহণের কালে মানুষেরা
বিষয় : কবিতা
লেখক : সাথী দাশ
প্রকাশক : খড়িমাটি
প্রচ্ছদ : খালিদ আহসান
প্রথম সংস্করণ : ১৪২৬ বাংলা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
ISBN : 978-984-8052-56-3
---------------------------------------
পৈতৃক উত্তরাধিকার সূত্রে নাম : অরুণ কান্তি দাশ।
জন্ম : ১ জানুয়ারি ১৯৫১ সাল, চট্টগ্রাম, পটিয়া উপজেলার ধলঘাট (দাশপাড়া) গ্রাম।
ব্যক্তিগত জীবনে ‘সাধারণ বীমা কর্পোরেশন’ এ কর্মরত ছিলেন।
পিতার চাকুরি সূত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-মহকুমা-থানায় কৈশোর কাল কেটেছে। স্কুলে থাকাকালীন অর্থাৎ ’৬৬-এর ৬ দফার আন্দোলন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির পাঠ গ্রহণ করেন।
স্কুল জীবনে পরোক্ষভাবে থাকলেও ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাশের পর সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন, কিছুদিন পরই স্বাধীনতাপন্থী (নিউক্লিয়াস) ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন। উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ এর ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অরুণ কান্তি দাশ (সাহিত্য সম্পাদক) সম্পাদিত “অগ্নিসম্ভবা বাংলা” সংকলন প্রকাশের পর তা সরকারি আইনে বাজেয়াপ্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকে সাথী দাশ নামে পরিচিতি লাভ করেন।
’৬৯-’৭০ এবং উত্তাল একাত্তরের বেগবান আন্দোলন-সংগ্রামে দেশ পরিবর্তনের ধারায় তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতির তারতম্য ঘটেনি, তাই মার্চে শুরু হওয়া স্বাধীনতার আন্দোলন, প্রতিরোধ যুদ্ধ শেষে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে প্রথমে এফ এফ (এপ্রিল), পরে বি এল এফ (জুন-জুলাই) -এর উচ্চতর ট্রেনিং শেষে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বি এল এফ কর্ণফুলি কন্টিনজেন্ট (কপ-১.) এর গ্রুপ সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন অপারেশনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অসংগতি, মুক্তিযুদ্ধের সুফল সমষ্টি মানুষের কাছে না পৌঁছে একটি শ্রেণি বিশেষের হাতে তুলে দেয়ার যে স্পষ্ট ষড়যন্ত্র চলছে তাকে প্রতিহত না করে ঔপনিবেশিক চিন্তা-চেতনায় লালিত আমলাদের হাতে সবকিছু সঁপে দেয়ার রাজনীতি কবিকে ভীষণভাবে আঘাত করে।
তিনি দেখেন বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে বিকশিত করার প্রতি অনেকের অনীহাভাব, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতিতে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভাবপ্রবণতা ও উদারতাবাদের প্রতি মনোযোগি হওয়া ইত্যাদি নানাবিদ কারণে ক্ষোভেÑঅভিমানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ঐসময়ে ছাত্রলীগের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগরীর সংগঠক ও পরে মূল দলের (পার্টি) সাথে সক্রিয় কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন।
১৯৮০ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল প্রকাশ্যে বিভক্তি হওয়ার পর সাথী দাশ কোনো দলের সাথেই আর সম্পৃক্ত থাকবেন না বলে পত্রিকায় বিবৃতি দেন।
সাথী দাশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে বি এ (সম্মান)সহ এম এ ডিগ্রি লাভ করেন।
স্ত্রী দোলন চাঁপা দাশ (সেন) মাধ্যমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এবং অনুবাদক হিসেবে সাহিত্য অঙ্গনে সুপরিচিত। তাদের একমাত্র সন্তান অভ্র গৌরব দাশ।