নিঃশ্বাসের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ জড় দেহের মধ্যে প্রাণ সঞ্চালন করে। এই আধ্যাত্মিক বোধই তার অনু কবিতার উপলক্ষ। অক্ষরবৃত্তের ১৪ মাত্রার কাঠামোর ভেতর নিয়ন্ত্রিত, পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের আবেগকে সংযত রেখে তিনি তার আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কিত লদ্ধ জ্ঞানকে কবিতার বাক রীতির ভেতর ধারণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন। আর তা করতে গিয়ে তিনি সচেতনভাবে তৈরি করেছেন নিজস্ব ঘরানার বাক-রীতি।
উপমা এবং রূপক ব্যবহার বৈচিত্র্যময় এবং প্রচলিত ধারা থেকে ভিন্ন স্বাদ এবং বর্ণযুক্ত যা নতুন এবং অভিনব, সেই সাথে অপার সম্ভাবনাময়। তিনি জীবনকে নিষ্ফলা মনে করেও শাশ্বত জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। যার কারণে নিষ্ফলা এই ভঙ্গুর জীবনও গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে।
।।।
মুনির আহমদ
পিতা- সুলতান আহমদ। মাতা- নূর জাহান বেগম।
জন্ম- ২৬ আগস্ট ১৯৬৩
নূর মঞ্জিল, ৪৩, বাগমনিরাম রোড, চট্টগ্রাম।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্ব সহকারে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯১ সনে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে চা বোর্ডের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
চা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সিলসো কলেজ এবং ভারতের কোথারি এগ্রিকালচারাল ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত টি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার সাথে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়াও টি মিউজিয়ামের একটি অংশে তার সংগৃহীত বিভিন্ন ধরনের দুষ্প্রাপ্য কলমের সংগ্রহশালা খোলা হয়েছে।
তিনি চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) হিসাবে ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেন এবং ২৫ আগস্ট ২০২২ অবসর নেন।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আত্মপ্রতিকৃতি (এপ্রিল, ১৯৯১),
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কাঠের পুতুল (অক্টোবর, ১৯৯৫) ও তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ মৃত্যু স্বর্ণলতা (জুন, ২০২৪) প্রকাশিত হয়।