শিরোনাম : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে শত গীতের অর্ঘ্য
বিষয় : গীতিকবিতা
লেখক : আলীম মাহমুদ
প্রকাশক : খড়িমাটি
প্রচ্ছদ : সোহেল আশরাফ
প্রথম সংস্করণ : ২০২১
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১২
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
ISBN : 978-984-8241-82-0
---------------------------------------
জন্ম ১৯৬৩। টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামে। সূচনাপর্বের শিক্ষা গ্রাম থেকেই। উচ্চতর শিক্ষা সা’দত কলেজ, করটিয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়াশোনা করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে।
স্কুলপর্ব থেকে কবিতা ও গান লেখার সূত্রপাত। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের সঙ্গে সংগীত বিষয়ক প্রায় সবগুলো শাখাতে যুক্ত হয়েছেন নব্বই দশকের পূর্বেই। বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান গ্রন্থনা, আবৃত্তি ও অভিনয় শাখাতেও তিনি সংযুক্ত। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশে গণসংগীতের দৃষ্টান্ত আলীম মাহমুদ রচিত গানগুলি। নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে ‘ঘুম ভাঙানোর গান’ শিরোনামে শিল্পী আবুবকর সিদ্দিকের কণ্ঠে অডিও অ্যালবামটি এপাড়-ওপাড় বাংলায় সমাদৃত হয়েছে। এ অ্যালবামের কারণে শিল্পী ও গীতিকার উভয়েই তদানীন্তন শাসকচক্রের রোষানলে পড়েছিলেন। বিভিন্ন পর্বে আলীম মাহমুদ রচিত গীতের সংখ্যা দশ হাজারের অধিক। আমাদের ন্যায্য অধিকার যত আমাদের ফিরিয়ে দাও, মা-মাতৃভূমি-মাতৃভাষা কী ব্যবধান আমি জানি না, মানুষেই খুঁজো নিরাঞ্জন, কোথায় বন্ধু যেতে চাও বলো, প্রশ্ন কোরোনা ক্যামন আছি, এক পরানে গেলাম কান্দিয়া, কান্দো রে বাঙালি কান্দো রে, অমিয় ভা- মাতৃভাষা, কালোরাতের কথা শোনাই, বর্ণমালার প্রেমে যুদ্ধ করে, ভাষার প্রেমে যাঁরা দিয়ে গেলে প্রাণ, আমি মরলে লোকের কাছে, মিথ্যে অহংকারে চাঁদ হাসে আকাশে-এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আলীম মাহমুদ। যত লিখেছেন সেই অর্থে প্রচার-প্রসার হয়নি তার গানগুলি। গীতিকবি আলীম মাহমুদ কর্মসেবায় একজন শিক্ষক। শিক্ষাসেবায় তিনি সর্বোচ্চ ধাপে উন্নীত হয়েছেন। তিনি উপমহাদেশে মুসলিম জমিদার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রথম কলেজ সরকারি সা’দত কলেজে বর্তমানে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তার সৃজন প্রতিভার আলোকদীপ্তি তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার গবেষণাগ্রন্থ ‘চর্যাপদ : বাংলা গানের আদিমাতা কাআ তরুবর’ বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম গ্রন্থ যা বাংলা ভাষার মর্যাদাকে একধাপ উন্নীত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।