মুনির আহমদ
পিতা- সুলতান আহমদ। মাতা- নূর জাহান বেগম।
জন্ম- ২৬ আগস্ট ১৯৬৩
নূর মঞ্জিল, ৪৩, বাগমনিরাম রোড, চট্টগ্রাম।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্ব সহকারে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯১ সনে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে চা বোর্ডের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
চা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সিলসো কলেজ এবং ভারতের কোথারি এগ্রিকালচারাল ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত টি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার সাথে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়াও টি মিউজিয়ামের একটি অংশে তার সংগৃহীত বিভিন্ন ধরনের দুষ্প্রাপ্য কলমের সংগ্রহশালা খোলা হয়েছে।
তিনি চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) হিসাবে ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেন এবং ২৫ আগস্ট ২০২২ অবসর নেন।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আত্মপ্রতিকৃতি (এপ্রিল, ১৯৯১),
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কাঠের পুতুল (অক্টোবর, ১৯৯৫) ও তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ মৃত্যু স্বর্ণলতা (জুন, ২০২৪) প্রকাশিত হয়।
।।।
তার অন্তঃকরণের বিচিত্র অনুভূতি এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিপুল অভিজ্ঞতাকে তিনি প্রকাশ করতে সনেটের ঋজু এবং আঁটসাঁট কাঠামো বেছে নিয়েছেন। মৃত্যু-চেতনা যেমন তাঁকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ঠিক তেমনি আবার মৃত্যুকে একপাশে রেখে তিনি জীবন কে আস্বাদন করছেন।
একটা কাকের বেঁচে থাকার নিয়ত সংগ্রাম তার কবিতায় ওঠে এসেছে, পরক্ষণেই তিনি দুবলার চরের হত দরিদ্র মানুষদের দুঃখ কষ্টকে অনুধাবন করেছেন। নিজের মৃত্যুর সময়ও তিনি তার জীবনকে, তার ভালোবাসাকে অবলোকন করতে চেয়েছেন। ধর্ম-বর্ণের বাহ্যিক ধারণাকে উপেক্ষা করে প্রকৃতির ঐক্য সুর থেকে তার আধ্যাত্মিকতা উৎসারিত এবং নিজস্ব ঘরানায় তা প্রসারিত। প্রতিটা কবিতার বাকরীতি এবং শব্দ ব্যবহার পদ্ধতি একেবারেই তার নিজস্ব ঘরানার, যা তাঁকে সহজেই তার সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করে দেয়।
তার চিন্তা, তার জিজ্ঞাসা, তার জীবন দর্শন, তার কবিতা লেখার রীতি সবই তার নিজের মতই মৌলিক, একক, নিঃসঙ্গ এবং তারই চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবি।