ত্রয়ী কাব্যগ্রন্থ
.
“কবিতা তো সম্পর্কের লেনদেন- নির্বাচিত কথামালায়- একান্ত নিজস্ব ভঙ্গিতে। সচেতন মরমি পাঠকের কাছে কবি ইউসুফ মুহম্মদ 'দোহার কবি নামে ইতোমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ইউসুফ মুহম্মদের চোখে বিস্মিত হওয়ার ও বিস্মিত করার অপরিমেয় ক্ষমতা আছে। তাই তিনি কবি-প্ৰকৃত কৰি। সময়-জিজ্ঞাসা এবং তীক্ষ্ণ সচেতনত বোধ তাঁর কবি ও কাব্য চরিত্র। "বালিতে লিখেছো কত বছরের কথাকলি প্রেম! 'ভুলো না আমায়" অথবা 'টেবিলে সাজানো কেক তার বুক চিরে তুমি স্থাপন করেছ বাতি/ মোমের শিখায় ওড়ে প্রেম, ঘর জুড়ে সন্ধ্যার আরতি'-এ অনন্য আরতি খুব কাছে টানে, মর্মলোকে বাতি জ্বালে উজ্জ্বলিত করে ব্যক্তিপ্রাণ। প্রাণ রসকথা জানে। জানে স্পর্ধার কবি উচ্চারণ—'এখনই তো সময়- আমি হেঁটে গেলে আলোকিত হবে পথ।
ইউসুফ মুহম্মদের এমন উচ্চারণে শক্তি ও বিশ্বাসের প্রকাশ
আছে। ইউসুফ অন্ধকার তাড়ানো শব্দমন্ত্র জানা—কবি
কারিগর। কবির ভেতর জাদু আছে। আমি বিশ্বাস করি, 'শূন্যসূত্র' কাব্যগ্রন্থের জন্য কবি ইউসুফ মুহম্মদকে পাঠক ও নীলিমা মিলে সংবর্ধনা জানাবে। 'শূন্যসূত্র' কাব্যগ্রন্থের বিশেষত্ব এখানেই—এটি ত্রয়ী কাব্য। অর্থাৎ তিনে মিলে এক-তিনভুবনের বোধের জীবন : শব্দ পুড়ে ছাই' 'টিনের আয়না" আর "৪৯ বায়ু'। 'শূন্য' কাব্যে একজন কৰিবার্ণিকের আশ্চর্য প্রশ্নবোধক জিজ্ঞাসার বাণী আছে—আমাদের জন্য, পাঠক ও বিশ্বমানবের জন্য : 'কেউ জেগে আছো? শব্দ করছো না কেন? এ প্রশ্ন কী আমাদের চকিত করে না-টনটন করে না আমাদের হৃদয়।"
..
ফাউজুল কবির