সমুদ্র ভাষা
বিষয় : কবিতা
লেখক : সঞ্চিতা সেনগুপ্ত
প্রচ্ছদ : কেতন মিত্র
সংস্করণ : জুলাই ২০১৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৮০৫২-৬০-০
সঞ্চিতা সেনগুপ্তের ভাষা সহজ। তাঁর প্রকাশভঙ্গিও সরল। তিনি যা বলতে চান, যা প্রকাশ করতে চান তা দুর্বোধ্য না করে অকপটে বলেন। এটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিল্পের শর্ত ভঙ্গ করলেও তার ভাবনা-চিন্তার বৈচিত্র, আবেগ- অনুভূতি সর্বোপরি বিশ্ব মানবতাবোধ একজন পাঠককে সহজেই আকৃষ্ট করবে। তাঁর 'অবোধের প্রশ্ন' কবিতাটি পড়ে মনে হয়েছে একজন কবি হয়ে ওঠার চেয়ে মানুষ হয়ে ওঠা অনেক বেশি প্রয়োজন এখন সমাজে। সঞ্চিতার মমত্ববোধ অনেক বেশি বিশ্বজনীন ও সার্বজনীন।
এখানেই সফলতা সঞ্চিতার।
¦¦¦¦
কামরুল হাসান বাদল
কবি
সঞ্চিতা সেনগুপ্ত :
পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার কোন্নগরে মামার বাড়িতে জন্ম। বাবা শ্রী ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভট্টাচার্য্য, মা শ্রীমতি দীপালি ভট্টাচার্য্য। বাবা ছিল অধ্যাপক, মা শিক্ষিকা, কর্মসূত্রে দুই দুজনই ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বাসিন্দা ছিলেন।
তাই শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ত্রিপুরার লাল টিলায়। তিনি মহারানী তুলসী বতী বালিকা বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পাঠ সমাপ্ত করেন। পরবর্তী উচ্চশিক্ষা লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস নিয়ে।
খুব শৈশবেই তাঁর লেখালেখির সূচনা হয়। তিনি যখন প্রায় বোধহীন শিশু তখনই সারা ত্রিপুরা স্বরচিত কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। পরবর্তীতে পড়াশোনার চাপে ও নানা কারণে আপন বৃত্তে পদচারণা করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবার ২০১৬ থেকে লেখালেখি শুরু করেন। উত্তরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত তিস্তা নামক একটি বইয়ে বাংলাদেশ ও তাঁর পিতৃদেবকে নিয়ে স্মৃতিচারণার একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাছাড়া তথ্যচিত্রে (কুমার টুলি কে নিয়ে) লেখাটিও সঞ্চিতার। এছাড়াও ২/১টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির গল্প ও তিনি লিখেছেন। তবে কবিতা তাঁর সহজ প্রকাশ।
তাঁর প্রাণের মানুষ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, জীবনের সকল পর্যায় তার অনুপ্রেরণা লাভ করেন। জগতে অজ্ঞাতে। গান, আবৃত্তি, কবিতা পাঠ, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা, রংতুলি, পেন্সিলের মাধ্যমে নিজের সুকুমার বৃত্তির প্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেন। আসলে এই সকলই তাঁর মনন-মনের ক্ষুধা নীবারণ করেন।
তিনি কিছু সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি। যেমন Youth guide for gorky sadan, মহিলাচালিত সংস্কৃতিক সংগঠন-সুমন্ত্র সভা, চিত্র জগতের সংগঠন, ভবানীপুর ফিল্ম সোসাইটি। আঁকার ক্ষেত্রে- Studio-২৪৪ ইত্যাদি বেশ কিছু সংগঠনের সাথে জড়িয়ে নিজে আনন্দ-অনুভব করেন।