এখনও বঙ্গবন্ধুর স্নেহমাখা ডাক শুনতে পাই : এম এ মান্নান (রাজনীতি-২০১৯)

এখনও বঙ্গবন্ধুর স্নেহমাখা ডাক শুনতে পাই
বিষয় : রাজনীতি/বঙ্গবন্ধু
লেখক : এম এ মান্নান
প্রচ্ছদ : মনিরুল মনির
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮০
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৮০৫২-৬৭-৯

এম এ মান্নান পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সাবেক সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধকালীন বিএলএফ-এর উপপ্রধান ও পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান (পার্বত্য চট্টগ্রামসহ), মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী। তাঁর জীবন সময়ের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত যোগ হচ্ছে সমাজ সেবা ও রাজনীতি। তিনি রাজনীতি স্বচ্ছ, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য পেতেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়সহ স্বাধীনতার সমস্ত উপযোগকে সংগঠিত করার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গঠনশৈলিতে তিনি সবসময় নিজের পরিচালিত করেছেন। তিনি বারবার সংগঠন ও রাজনৈতিক সীমারেখায় গণমানুষের মুক্তির আন্দোলনে সামনে এনেছেন। চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার উল্লেখ্য অবস্থান আমাদের সকলের জানা।
রাজনীতির বিভিন্ন অসম অবস্থায় তিনি কারাবরণ করেছেন। তখন তিনি বিভিন্ন সময় চিঠি লিখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ও সংশ্লিষ্ঠদের কাছে। এই চিঠিপত্র গুলো আমরা এখানে গ্রন্থভূক্ত করেছি।
মনন ও সৃজনের পরিচয় বহনকারী তাঁর কিছু লেখা এখানে রয়েছে। যেগুলো আমাদের রাজনীতির জন্য অনন্য পাঠ বলে মনে করি। এই লেখাগুলোতে সমসাময়িক রাজনীতির ছাপ ও তাঁর দূরদর্শিতার প্রমাণ মিলবে।

আমরা এম এ মান্নানের জীবন সম্পর্কে জানি। তাঁর প্রজ্ঞা ও কৌশল নিয়ে অনেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। যেখানে তার নিগূঢ় সমাজ জীবনের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর জীবন পাঠ থেকে আমরা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথের দিশা খুঁজে পাবো।
এই বইটিতে অনেকে সহয়োগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভালো থাকবেন।

এম এ মান্নান :
এম এ মান্নান (আনু. ১৯৩৬–২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী যিনি চট্টগ্রাম-৯ ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
এম এ মান্নান আনু. ১৯৩৬ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো: আবদুর রশীদ ও মাতার নাম বিবি গোলাপ জান। ৩ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তার স্ত্রী নূর মেহের বেগম। এই দম্পতীর ৬ ছেলে ও ২ মেয়ে।
এম এ মান্নান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একই আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে পরাজিত হন।
এম এ মান্নান ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।