স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সহযোদ্ধার স্মৃতি
বিষয় : মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা
লেখক : আহসানউল্লাহ্ চৌধুরী
প্রকাশক : খড়িমাটি
প্রচ্ছদ : মোস্তাফিজ কারিগর
প্রথম সংস্করণ : ২০১৪
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১১
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
ISBN : 978-984-900-713-5
আমাদের সন্তানরা আজ যে স্বাধীনতার সড়কে হাঁটছে তার নির্মাণে অনেক শ্রম-ত্যাগ জড়িয়ে আছে আমাদের সহযোদ্ধাদের। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী এবং সাধারণ মানুষ তাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিয়েছেন আমাদের বর্তমানের জন্য।
আমার এ বইতে আমি আমার সহযোদ্ধাদের কথা বলতে চেয়েছি, বলেছি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও নানা গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কথা যারা তাদের কাজের মধ্য দিয়ে পূর্ব বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, স্বাধীনতার সংগ্রামে বিজয় অর্জন করেছেন। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।
আমাদের বর্তমান তরুণ কর্মীরা তাদের জীবন ও কাজ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে পুঁজিবাদী সমাজ বদলের কাজে অনুপ্রাণিত হবে, এই আশায় আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার লেখায় সহযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ কীর্তি ও কৃতি আসেনি, আগামী সংস্করণে বিস্তারিত তথ্য ও অন্যান্য ঘটনাবলী সংযোজন করবো এবং আরো অনেক সহযোদ্ধার কথা বলতে চেষ্টা করবো।
কয়েকটি নিবন্ধে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি, আমার পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। স্মৃতি আমাকে অনেক ক্ষেত্রে প্রতারিত করেছে, অনেক ঘটনা ও সাহসী কর্মীর নাম যদি উল্লেখ না থাকে তবে তা অনিচ্ছাকৃত জেনে আমায় ক্ষমা করবেন।
অনেক শুভানুধ্যায়ীর সহযোগিতা পেয়েছি এ কাজে, তাদের প্রীতি ও ভালবাসা জানাই। বইয়ের প্রকাশক তরুণ সংস্কৃতি কর্মী ও কবি মনিরুল মনিরকে ধন্যবাদ এ জন্যে যে অনেক ব্যস্ততার মাঝে তিনি আমার বইটিকে পাঠকের সামনে এনেছেন। প্রচ্ছদ শিল্পী মোস্তাফিজ কারিগর কৃতজ্ঞতাপাশে আমাকে আবদ্ধ করেছেন।
বইটির ভুলত্রুটি, অপূর্ণতার দায়ভার আমার।
¦¦¦¦
আহসানউল্লাহ্ চৌধুরী
আহসানউল্লাহ্ চৌধুরী :
জন্ম ফেনী থানার অন্তর্গত বালিগাও গ্রামে ১৯৩৬ সালের ২৬ জানুয়ারি। পিতা বদিউজ্জামান চৌধুরী, মা রফিকুন্নেসা চৌধুরী। আই এ ফেনী কলেজ, সিটি কলেজ চট্টগ্রামে বি.এ পড়েছেন। পরে চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্বিভাগে চাকরি নেন। ১৯৫৯ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন এবং পার্টির নির্দেশে চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে ব্রতী হন। চট্টগ্রামের শ্রমিক আন্দোলনকে জাতীয় স্বাধিকার আন্দোলন ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে তিনি নিরলস শ্রম দেন। ১৯৬৫ সনে তিনি কারাবরণ করেন।
১৯৬৮-৬৯ এর শ্রমিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন সংগঠিত করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতিপর্বে তিনি বিপ্লবী সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ এর মহান
স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি পার্টির গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ ও দেশের অভ্যন্তরে তাদের অপারেশন সংগঠিত করার কাজে নেতৃত্ব দেন। পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা তার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং তাদের দোসররা তার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং তার ভাই আনোয়ারউল্লাহ্ চৌধুরীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
স্বাধীনতার পর তিনি জাতীয় শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।