মেঘবালিকার কাহন
বিষয় : কবিতা
লেখক : ডা. জুলিয়া রহমান
প্রচ্ছদ : গাজী সারীম বখতিয়ার আলম
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০৪
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৮০৫২-২৯-৭
মৃদুমন্দ বাতাস এলে মন দুলে ওঠে। এই রোমাঞ্চকর সুর জীবনের শান্তিময় এক পৃথিবী রচনা করে। কবিতা সেই স্বপ্নের কাছে যেতে চায় যেখানে মন্ত্রমুগ্ধ কথা আছে, ভাষা আছে।
ডা. জুলিয়া রহমানের কবিতা সেরকম ভাষার ইঙ্গিত করে। তিনি উপলব্ধিকে নিজের ভেতরে জারিত করতে পেরেছেন বলেই এমন সাবলীল ভাষা তুলে দিয়েছেন পাঠকের হৃদয়বৃত্তে।
'ভুল কি তবে হয়েই গেল/পিছন ফিরে দেখতে গিয়ে?/বেশতো ছিলাম কাজের মাঝে/নিজের মতো শান্তভাবে।' নিভৃত থাকাই তো কবির স্বভাব। এভাবে সমস্ত মন-প্রাণ উজাড় করা এক প্রেমমন নিয়ে এই আদর্শ পঙ্ক্তি।
শুধু উপমা নয়, অধীর আবেগ এই কবিতাগুলো হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে। সবই একই রকম পথরেখা অবলম্বন করে কবিতার গহন বিশ্বে পদক্ষিণ করেছেন।
আরো একটি উপলব্ধি: 'আকাশ মানে শরৎকালের/ খেলা চলে মেঘ বাতাসের' ঋতুবৈচিত্র্যের আগ্রহে জমা হয় নানারকম প্রান্তিক অনুভূতি। যেমন তেমন অনুভূতি, মনআবেশের অনুভূতি।
অনুভূতির সময়জ্ঞানটা মুখ্য। কখন, কীভাবে চলে আসে। কবিতায় আনার সাহসটা কবির ক্যারিশমা। চলতে চলতে যাপিত জীবনের বারান্দায় বসে বসে এই সকল কবিতা পাঠকের দোর গোড়ায় আলোর টিপ পরাবে।
তখন কবিতামুখী মানুষের কাছে স্নানবিলাস হয়ে দেখা দেয়। তেমনি কবিতার বই মেঘবালিকার কাহন
ডা. জুলিয়া রহমান :
পাহাড় ঘেরা মেঘে ঢাকা আসাম রাজ্যের বাবা- মায়ের সন্তান ডা. জুলিয়া।
পাহাড়ের মতো অবিচল ও দৃঢ়চেতা। আকাশের মতো উদার। মেঘের মতো গম্ভীর আর বৃষ্টির মতো স্বচ্ছ।
শিক্ষাজীবন শুরু ঢাকার বিখ্যাত ভিখারুনেচ্ছা নুন স্কুলে। সেখান থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি। এরপর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করেন, গাটছড়া বাঁধেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অত্যন্ত মেধাবী, কৃতি ডাক্তার এম এস আলম প্রিন্স-এর সাথে। তিনি উচ্চশিক্ষা শেষ করেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মেটানিটি হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট।
ডা. জুলিয়া এক মেধাবী পুত্র সন্তান গাজী সারীম আলমের মা, সে এখন মায়ের মতই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র। লেখালেখিটা শখের বশে। গভীর জীবন ভাবনা আর পরিবেশ-প্রকৃতি তার লেখার প্রধান উপজীব্য।