পৃথক প্লাবন
বিষয় : কবিতা
লেখক : মোস্তাফিজুর রহমান লিটন
প্রচ্ছদ : মোস্তাফিজ কারিগর
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৭
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৮
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯২০০৬-৯-৭
মোস্তাফিজুর রহমান লিটন দেশানুরাগী তরুণ সত্তা। প্রায় বছর দশেক আগে ওর তরতাজা প্রাণের আনন্দ বেদনা মাখা গদ্য আর কাব্যকথা পাঠের সুযোগ হয়েছিল। মাঝে বড় সড় সময় বয়ে গেল অজান্তে।
এই পৌষের মাঝামাঝি এক হিমেল সন্ধ্যায় মোস্তাফিজুর রহমান লিটন এলেন। তার ঝুলিতে এবার পৃথক প্লাবন এর জলের কোলাহল। গদ্যময় কবিতার একঝাঁক পদ্মরাগমণি। লিটন চেতনা ও ভালোবাসার দ্যুতিতে খুবই মানবিক আর সমসাময়িক। তার আবুতোরাবের ছেলেদের জন্য এলিজি আমাকে কাঁদিয়েছে খুব। আর দূরের বেলার ভালোবাসার স্বচ্ছ ও সাচ্চা অনুভূতির প্রকাশ খুব সুন্দর। তোমার মেয়েবেলা, যুবতীবেলা/ সবকিছু টপকে টপকে পেরিয়ে যাচ্ছো তুমি/ কোনো বেলাতেই তোমাকে আমি কাছে পাচ্ছি না। এ বিরহ ভাষণ বেশ মনোরম আর নস্টালজিক। লিটনের কবিতার সমকালীন রাজনীতি সচেতনতা, দ্রোহ, দহন, মিছিল ও স্লোগানমুখিতা বিপ্লবী দিনগুলোর আশা জিইয়ে রাখে।
লিটনের অনুভূতিতে জমা আছে অগণন সুন্দর, সুপুষ্ট বীজধান। তারই কিছু এ কাব্যে আবাদিত হয়েছে। আসছে দিনগুলোতে তার ফসল সম্ভার আমাদের পরিবেষ্টিত করবে আরও। এই ব্যঞ্জনা পৃথক প্লাবনের বুকেই খোদিত হয়ে আছে।
....
হাফিজ রশিদ খান
কবি
মোস্তাফিজুর রহমান লিটন :
জন্য: ২২ আগস্ট, ১৯৮১। ডোমখালী, সাহেরখালী, মিরসরাই, চট্টগ্রাম।
ডোমখালী খাল, নলুয়ার বিল আর জলপিপিদের লাজুক ডুবসাঁতার দেখে বড় হওয়া দিনগুলো ছিলো বর্ষা বিভোর। বৃষ্টি শেষে শনের চাল বেয়ে ঝরা বৃষ্টিকে সুতোয় বয়ে নিয়ে আসতেন নিজস্ব করতলে। নিজামপুর কলেজের দেয়ালিকায় প্রথম কবিতার আত্মপ্রকাশ। ঐকতান সাহিত্য সংসদ ও মিরসরাই কবিতা পরিষদ সহযোগে ছিলেন মফস্বলীয় সাহিত্য, সংস্কৃতি আন্দোলনের সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রামের মুক্তমনা ও প্রগতিশীল ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন স্ববান্ধব এর সাথে এবং সম্পাদনা করেছেন এর মুখপত্র মনন।
ব্যবসা ব্যবস্থাপনা পড়ুয়া কবি ছাত্রাবস্থায় যুক্ত ছিলেন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সঙ্গে। পরে যুক্ত হন বহুজাতিক জাহাজীকরণ প্রতিষ্ঠান পিআইএল (বাংলাদেশ) লি. ও কোটস (বাংলাদেশ) লি. এর সাথে। বর্তমানে আমেরিকান এন্ড ইফার্ড (বাংলাদেশ) লি. এর বিক্রয় ও বিপণন বিভাগে কাজ করছেন।
রাজনীতি সচেতনতায় তিনি অর্থবহ গনতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেন, বিশ্বাস রাখেন কল্যান রাষ্ট্রের ধারণায়। প্রিয় অবসর কাটান গ্রামে। যত্ন নেন মেহগনি গাছের সারির, লেবু গাছটির ঝোঁপ অথবা কামরাঙা থোকার। শান্ত পুকুরে গেলেন শখের ছিপ। শিকড়মুখিতা এবং নাগরিক দায়বদ্ধতায় তিনি যুক্ত সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাথে এবং সহযাত্রীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন সাহেরখালী আইডিয়েল গ্রামার স্কুল।
কবিতার পাশাপাশি রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সামাজিক আন্দোলন, অর্থনীতি, রাজনীতি ও উন্নয়ন ভাবনা তাঁর গদ্য লেখালেখির প্রিয় বিষয়।