মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র
বিষয় : মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা
লেখক : শৈবাল চৌধূরী
প্রচ্ছদ : মোস্তাফিজ কারিগর
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১২০
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯৩৪২৮-৪-৭
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয় বিশাল এক মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। সে যুদ্ধের বিনিময় মূল্য অপরিসীম। ১৯৭১ সালে বিশ্বজুড়ে এই যুদ্ধ আলোড়ন তুলেছিল। দুয়েকটি দেশ ছাড়া সারা বিশ্বের সমর্থন ছিল সে যুদ্ধে। ছিল দুটি দেশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিস্মৃত হওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। বর্তমানে সে অমানিশা কেটেছে। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্জাগরিত ও উজ্জীবিত হচ্ছে ক্রমশ:। শৈবাল চৌধুরী তার এই গ্রন্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবলম্বন করে নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করেছেন। তার আলোচনায় কেবল চলচ্চিত্রিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি উঠে এসেছে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণও। ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণকে তিনি নৈর্ব্যক্তিক করে তোলার চেষ্টা করেছেন তার লেখার।
শৈবাল চৌধুরী :
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিপর্যস্ত একটি পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার পরিবার ভারতের মিজোরাম রাজ্যে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে তিন ভাই ও দুইবোনকে তিনি হারান। যুদ্ধের শেষে দেশে ফেরার পর পর হারান শোকগ্রস্তা পিতামহীকে। তিনি তার জীবনের এসব করুণ অভিজ্ঞতাকে দুঃখ ও গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করেন প্রতিদিন। কারণ এ ধরনের হাজার হাজার অভিজ্ঞতার বিনিময়েই এই দেশটির জন্ম। শৈবাল ১৯৭৯ সাল থেকেই চলচ্চিত্র সংসদ চর্চার সঙ্গে সংযুক্ত। তখন থেকেই লেখালেখির শুরু। চলচ্চিত্র সাহিত্যকে লেখার মূল ক্ষেত্র করে নিয়েছেন তখন থেকেই দায়বদ্ধতার সঙ্গে। এটি তার চতুর্থ গ্রন্থ। প্রথম দুটি চলচ্চিত্র বিষয়ক, চলচ্চিত্রের পটভূমিকায় (১৯৯৬) ও রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা (১৯৯৭, সত্যজিৎ রায়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা চলচ্চিত্র নিয়ে লেখা), তৃতীয়টি সংগীত বিষয়ক- যিনি ঝড়ের কাছে রেখে গেলেন নিজের ঠিকানা (২০১৪, সলিল চৌধুরীকে নিয়ে লেখা)।
চলচ্চিত্র নির্মাণেও নিয়োজিত। এ পর্যন্ত নির্মাণ করেছেন পাঁচটি প্রামাণ্যচলচ্চিত্র: দীপ্ত পদাবলী (কবিয়াল ফনী বড়ুয়া), পোট্রেট অফ এ ডান্সার (নৃত্যগুরু রুনু বিশ্বাস), বিনয়বাঁশী (লোকশিল্পী বিনয়বাঁশী জলদাস), বিস্মৃত অধ্যায় (মুক্তিযোদ্ধা বেগম মুশতারী শফী) এবং মেঠো পথের গান (লোকশিল্পী আবদুল গফুর হালী)। প্রথম কাহিনীচিত্র ভূমিকম্পের পরে-এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের সঙ্গে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। বর্তমানে চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের সভাপতি।
চলচ্চিত্র শিক্ষকতার সঙ্গেও সংযুক্ত। ২০১৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত।
জন্ম ১৫ জুন ১৯৬১, চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা হিসাব বিজ্ঞান (সম্মান) ও অর্থ বিজ্ঞানে (স্নাতকোত্তর)। পুত্র জয়, কন্যা ঠুমরী ও স্ত্রী রিতাকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ।