হারিয়ে যাওয়া হাতগুলো
বিষয় : কবিতা
লেখক : নাজিমুদ্দীন শ্যামল
প্রচ্ছদ : ড. জেসমিন আকতার
সংস্করণ : জুলাই ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯৩৪২৯-৩-৯
বন্ধনের স্মৃতি, সম্পর্কের স্মৃতি যখন কবিতায় আসে, তখন কবিতা হয়ে উঠে আরো আবেগগ্রস্থ। নাজিমুদ্দীন শ্যামল এ পর্বের কবিতাগুলো পূর্বের কবিতা থেকে আলাদা উজ্জ্বলতা দিয়ে হাজির করেছেন। বিচ্ছেদের সুর, কবিতায় আছে প্রিয় মানুষের স্পর্শহীন হয়ে ওঠার আকুতি। কবিতা শুধু শব্দের পর শব্দ নয়, শব্দ হয়ে ওঠে আলোকময়, নতুন রজনীর খেলা।
পৃথিবীর সব সুর সমস্বরে বেজে চলে, শব্দের মোহর সাদা কাগজে গড়িয়ে পড়ে। কখনও দুঃখ শালিক হয়ে ঘরের পাশে বসে থাকেন। কখনো সোনালু ফুলের হলুদে, আলোতে গড়াগড়ি খায়। এই তো কবিতা। তার কবিতা হৃদয়ের উচ্ছ্বাস ও শিল্প রসের যুগপৎ মিলন, মেধা ও প্রজ্ঞার বাস্তবরূপায়নে ঋদ্ধ
'তুমি অনেকটা মৃত্যুর মতোন.../আমি কেবল ছুটে যাচ্ছি তোমার দিকে/কিংবা তুমি ধাবিত হচ্ছো আমার কাছে।' মৃত্যু থেকে কেউ পালিয়ে থাকতে পারে না। তেমনি ভালবাসা শুধু 'পালিয়ে বাঁচার কবিতা'। এই আর্দ্র উদ্ধার কবিতাকে করেছে চতুর্দিকের হুলুস্থুল উল্লাসের প্রতিবেশী।
কবির ভাবনা-বিশ্ব নিয়ে কথা বলা যায়, তিনি 'রেখে যাওয়া ঘাম, শোষণহীন সাম্যের পৃথিবী'র কথা বলেছেন। নিজের প্রিয় বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে স্মৃতির প্রবাহ বয়ে নিয়ে যেতে চান। তাই বলেন, 'আমাকে মনে রেখো বয়ে যাওয়া নদী কর্ণফুলী।'
ভাবের প্রতিলিপি নিয়েই আমরা বেঁচে থাকি। শব্দের অন্তরে ভাব কবিতাকে পাঠকের মনোগ্রাহী করে তুলে। তাই এই কবিতাগুলো পাঠে মিলবে হরেকরকম সুর। একান্ত স্মৃতিবাহী এক পরিপাঠী জগৎ।
....
মনিরুল মনির
নাজিমুদ্দীন শ্যামল :
জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ গোলআরব চৌধুরী বাড়ি, সফিনগর, পশ্চিম ধলই হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। সমুদ্র তীরবর্তী পতেঙ্গায় তাঁর বেড়ে ওঠা। পিতা প্রকৌশলী এস এম এ বারী মাতা বেগম নীলুফা বারী
পড়াশোনা ইস্টার্ন রিফাইনারী মডেল হাইস্কুল, হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগে। তিনি ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা। তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতায় যুক্ত আছেন। তিনি মুক্তকণ্ঠ, দি ইন্ডিপেনডেন্ট, দৈনিক সকালের খবর, দি এশিয়ান এইজ, দি বাংলাদেশ নিউজ-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দি বাংলাদেশ পোস্ট-এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি এবং থমসন রয়টার্স-এর চট্টগ্রাম করসপন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে সাংবাদিকদের প্রথম সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি। এর আগে পরপর দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন। চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ দেড় দশক তিনি চলচ্চিত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি নাট্য আন্দোলনের সাথেও যুক্ত ছিলেন।