খন রঞ্জন রায়ঃ
১৯৬৭ সালের ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের ভোলাচং-এ জন্ম। বদলাবদলীর বাউণ্ডুলে ভাবনা নিয়ে লেখাপড়া করেছেন নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নবীনগর সরকারি কলেজ, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি-ঢাকা, 'ভাউয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়ে কর্মনির্ভর করার প্রস্তাবক, নির্ভীক-নিরলস-আদর্শের কর্মী। গত ত্রিশ বছর ধরে এই ভাবনা নিয়ে দেশের প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম লিখে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতির স্বরূপ সন্ধান করছেন। যুক্তি-পরামর্শ তুলে ধরে পরিবর্তনের আকুতি জানাচ্ছেন। সময়ে সময়ে সরকারের নীতি- নির্ধারণীমহল বরাবরে সুনির্দিষ্ট শিক্ষা প্রস্তাব, দাবি- সুপারিশ উপস্থাপন করছেন। সরকার এবং কিছু সংস্থা উপস্থাপিত প্রস্তাবনা নীতিগতভাবে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন।
সরকারি চাকরির অবসর সময়ে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। ওতপ্রোতভাবে জড়িত শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবাধর্মী সংগঠনের সাথে। ঠাকুরদাদা-জগৎ চন্দ্র রায় ছিলেন রেলওয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। বাবা- প্রয়াত সাধন চন্দ্র রায়, মা- প্রয়াত শান্তি বালা রায়। স্ত্রী- মিত্রা দেব আর একমাত্র সন্তান ত্রিয়মা রায়'কে নিয়ে শৌখিন সংসার।
।।
মো. আবুল হাসানঃ
গতানুগতিক থেকে সমসাময়িক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের নিরলস কর্মী মো. আবুল হাসান। জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১, নরসিংদীর বৌয়াকুড়ে, পিতা- হাজী আব্দুল বাতেন, মাতা- নুরজাহান বেগম। প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন নরসিংদীতে। ঢাকা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে দন্ত চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ্যায় ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জনের পর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভারতের কিং জর্জ মেডিকেল কলেজে, থাইল্যান্ডের চাংমাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষা অনুরাগী মো. আবুল হাসান ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিকে আকর্ষণ অনুভবের ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রস্তাবক তিনি। দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ৫ জুলাই ১৯৮৮ তারিখে প্রবন্ধ লিখে আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন।
সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস জন্মভূমি নরসিংদীতে প্রতিষ্ঠা, নরসিংদীতে শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নরসিংদীতে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন, দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তর, নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় বঞ্চিত জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে চারশিফট শিক্ষাব্যবস্থা চালু মো. আবুল হাসানের দীর্ঘদিনের লেখালেখির উদ্দেশ্য। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দাবি প্রচেষ্টাকে বাস্তবে রূপদানে কোন কোন ক্ষেত্রে আন্দোলনী সংগঠনেরও জন্ম দিয়েছেন। লেখক ও সহযোদ্ধা হয়ে সবসময় সঙ্গে থেকেছেন প্রাবন্ধিক, প্রযুক্তিবিদ, সমাজকর্মী খন রঞ্জন রায়।