দামিনী : মুনির আহমদ (গল্প-২০২৪)
বিষয়: গল্প
লেখক: মুনির আহমদ
সংস্করণ: প্রথম প্রকাশ: অক্টোবর ২০২৪
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮০
ভাষা: বাংলা
আইএসবিএন: 978-984-97981-1-8
সৌন্দর্যের চাদরের নীচে আড়াল হয়ে আছে নিঃস্ব একদল ভাগ্যহত মানুষের জীবন-
চা শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মজীবনের ৩৩ বৎসরের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে চা বাগানের লুকিয়ে থাকা বাস্তবতাকে পাঠকের সামনে তুলে আনায় সচেষ্ট হয়েছেন লেখক।
তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন চা বাগানের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বাহ্যিক এক স্কুল জীবন, যা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হয় নীল আকাশের নীচে সবুজ অরণ্যের ভেতর এক আনন্দময় জগৎ। বরং তিনি প্রবেশ করেছেন তাদের অন্তর্নিহিত যন্ত্রণা, তাদের সংস্কার-কুসংস্কার, ধর্ম, দর্শন এবং উপাখ্যানের ভেতর।
প্রতিনিয়ত সময়ের মাঝে তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকে থাকার শক্তি, সংগ্রাম ও বিকাশ লেখককে আকৃষ্ট করেছে। ব্যবস্থাপকদের অসহায়ত্ব ও নিঃসঙ্গ জীবন তাঁর দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। একই সাথে তিনি তুলে এনেছেন বৃহত্তর সিলেটের চা বাগানগুলোর আসে-পাশে বাস করা মণিপুরী এবং খাসিয়াদের জীবন এবং তাদের সমাজের অন্তর্নিহিত চেতনা।
ইতিহাসের ক্রম বিবর্তন ও ক্রমবিকাশের ভেতর তিনি বারবার উপলব্ধি করেছেন মানুষের অসহায়ত্ব- তাকে অতিক্রম করার বিপুল চেষ্টা, সংগ্রাম ও সম্ভাবনা। গল্পের নির্মাণ কৌশলে তিনি প্রচলিত ধারাকে সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন এবং নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও নির্মাণ পদ্ধতি দ্বারা তা সৃজন করেছেন।
মুনির আহমদ :
পিতা- সুলতান আহমদ। মাতা- নূর জাহান বেগম।
জন্ম- ২৬ আগস্ট ১৯৬৩ নূর মঞ্জিল, ৪৩, বাগমনিরাম রোড, চট্টগ্রাম।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্ব সহকারে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯১ সনে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে চা বোর্ডের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
চা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সিলসো কলেজ এবং ভারতের কোথারি এগ্রিকালচারাল ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত টি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার সাথে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়াও টি মিউজিয়ামের একটি অংশে তার সংগৃহীত বিভিন্ন ধরনের দুষ্প্রাপ্য কলমের সংগ্রহশালা খোলা হয়েছে।
তিনি চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) হিসাবে ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেন এবং ২৫ আগস্ট ২০২২ অবসর নেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আত্মপ্রতিকৃতি (এপ্রিল, ১৯৯১), দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কাঠের পুতুল (অক্টোবর, ১৯৯৫), তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ মৃত্যু স্বর্ণলতা (জুন, ২০২৪), চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ
দীপ্ত হৃৎ-অরণ্য (জুন, ২০২৪) পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ আদি ও অন্তিমের সাক্ষাৎ (আগস্ট, ২০২৪) প্রকাশিত হয়।