জ্ঞানচর্চা, প্রেম আর প্রকৃতির রাজ্যে ঘুরে বেড়ানোর ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষরুপি শুকরের হাত থেকে তখন এইসব অসহায় পাহাড়িদের বাঁচানোই মন্টুদের কাছে হয়ে উঠে জীবনের প্রধান ব্রত।
নানা ঘাতপ্রতিঘাতের ভিতর দিয়ে একসময় তারা পেরেও উঠে। কিন্তু বহমান সময়ের স্রোতের টানে অনেক কিছুই পাল্টে যায়। ফুরিয়ে যায় উন্মত্ত যৌবনের অঢেল সময়। জীবন ও জীবিকার তাগিদে টুনিকে ছেড়ে মন্টুকে পাড়ি জমাতে হয় সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে। একসময় কৃষ্ণের বাঁশির সুরের মত হুইসেল দিতে দিতে দিনের শেষ শাটলটা একে একে বাকিদেরও পৌঁছে দেয় যার যার শেষ গন্তব্যে! এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে হাজার বছরের পুরোনো সেই রাত। আবারো অন্ধকার আর কুয়াশায় ঢেকে যায় বিস্তীর্ণ অরণ্য।
এ এমন এক জীবন, যেখানে স্মৃতি মেদুর ক্লান্তি নিয়ে মানুষ একসময় নষ্টালজিয়ায় হয়ে যায়। আমিনুল হকের প্রথম উপন্যাস অরণ্যের নিশাচর। এক অলীক সময়ের মাপকাটিতে নির্ণয় করা মায়াময় উপন্যাস।
..
আমিনুল হক
কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থানার চৌদ্দশত গ্রামে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. খোকন মিয়া এবং মাতা মার্জিয়া খাতুন। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
তিনি নিজ জেলাতেই স্কুল এবং কলেজ জীবন শেষ করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখান থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত আছেন।