চর্যাগীতির কবি
বিষয় : প্রবন্ধ-নিবন্ধ
লেখক : মাসুম খান
প্রচ্ছদ : মনিরুল মনির
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭২
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯৩৪২৯-৯-১
ভাষাটা নিরীক্ষার। তেমনটা মনে করতে করতে যে নিদর্শনটি আজ সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে আমাদের ভাষা-চিন্তায়, তা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যেকে ঋদ্ধ করেছে।
চর্যাগীতি। বাংলা ভাষার এই সমৃদ্ধ বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে কথা হয়েছে। সময়ের সফলতায় আরো কথা হবে। প্রতিনিয়ত এর নতুন নতুন রূপ রহস্য উন্মোচন করছেন ভাষা-চিন্তকগণ। আর চর্যাগীতির মাতালঘন ক্ষণগুলো আমাদের দীর্ঘজীবন কামনা করে যাচ্ছে।
যাক, আমাদের নিবেদন স্থায়ী করে দিল 'চর্যাগীতির কবি' বইটি। মাসুম খানের এই বইটির মধ্যে দুটি বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে। যা আমাদের জানার ব্যাপ্তিটা বাড়িয়ে দিল।
জানতে পারি, চর্যার গীতিগুলো বা চরণ রচনা করেছিলেন মোট ২২ জন সিদ্ধাচার্য বলে মতামত প্রচলিত রয়েছে। তাঁরা হলেন লুইপা, কুক্কুরীপা, বিরূপা, গুণ্ডরীপা, চাটিল্লপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কম্বলাম্বরপা, ডোম্বীপা, শান্তিপা, মহিপা, বীণাপা, সরহপা, শবরপা, আর্যদেবপা, ঢেণপা, দারিকপা, ভাদেপা, তাড়কপা, কঙ্কনপা, জয়নন্দীপা, ধৰ্ম্মাপা, তান্তীপা, ডোম্বীপা প্রমুখ থাকলেও, মাসুম খান তাঁর প্রবন্ধে একই নামে একাধিক চর্যাকর্তা ছিলেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে কাহ্নপা চার জন, ধামপা আর ডোম্বীপা এক ব্যক্তি নন, এমনি নানাবিধ আলোচনা তিনি করেছেন।
আলোচনা করেছেন বিস্তর, চর্যাকর্তাদের ঐতিহাসিক সময় নিয়েও। গুরু-শিষ্য পরম্পরায় উঠে এসেছে চর্যাগানের ঐতিহাসিক সময়কাল।
সব মিলিয়ে চর্যাগীতির সংখ্যা ৫০টি হলেও প্রবন্ধগুলোতে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত সাড়ে ছেচল্লিশটি গান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ১৫টি রাগে লেখা গানগুলোর বিশেষত্ব-পদকর্তাদের রচনা ভঙ্গির বিশ্লেষণ করেছেন লেখক এই বইয়ের দুটি প্রবন্ধে। এছাড়াও সময়কালের বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
চর্যাগীতির নানা রকম আলোচনা আমরা বহু চর্যা-গবেষকদের আলোচনায় পাই: কিন্তু চর্যাগীতির কবিদের নিয়ে আলাদা করে এমন সরল আলোচনা সাধারণ পাঠককে বুঝতে সহায়তা করবে বলে আশা করি। এ কারণে এ বই প্রকাশ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অনুরাগীদের হাতে তুলে দেয়া। বইটি সমাদৃত হলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে।
কৃতজ্ঞ।
....
মনিরুল মনির
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, শিক্ষক, পাঠক মাত্রই সচরাচর মনে করে থাকেন যে, চর্যাগানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের দ্বারা রচিত হয়েছিল তাঁদের সাধন পদ্ধতি রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রচারের প্রয়োজনে। আসলে কি তাই? সেখানে কি শুধু বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের সাধন-পদ্ধতিই বাণীরূপ পেয়েছে, নাকি আরো অন্য কোনো সম্প্রদায়ের সাধন-পদ্ধতিও রয়েছে? তা নতুন করে ভেবে দেখার সময় এসেছে।
....
মাসুম খান