শেষ সীমান্তের পর কোথায় যাব আমরা
বিষয় : প্রবন্ধ
লেখক : মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম
প্রকাশক : খড়িমাটি
প্রচ্ছদ : মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম
প্রথম সংস্করণ : ২০২০
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২০৪
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
ISBN : 978-984-8052-91-4
এ বইয়ে সংকলিত লেখাগুলি একদিকে মানুষের অনেক আত্মঘাতী পদক্ষেপকে যেমন সামনে নিয়ে এসেছে তেমনি এসব কর্মকাণ্ড মানুষের জীবনকে কীভাবে দুর্বিষহ করেছে তার অসংকোচ প্রকাশও।
লেখাগুলি একদিকে যেমন চলমান সময়ের প্রতিচ্ছবি ধারণ করেছে তেমনি এসব লেখা কালের যাত্রায় সাক্ষী হয়েও থাকবে। সভ্যতার মুখোশ পরা মানুষ মানুষকে কী নির্মমতায়, নিষ্ঠুরতায় নিঃশেষিত হবার পথে ঠেলে দিয়েছে তা বিধৃত হয়েছে এ বইয়ের পাতায় পাতায়।
ভূ-রাজনীতি, ভূ-কৌশলের মতো জটিল আর যুদ্ধের মতো বীভৎস পটভূমিতে অধিকাংশ লেখা রচিত হলেও এর পরতে পরতে রয়েছে গল্প আর সাহিত্যের আমেজ। ফলে পাঠকমনকে বিধৃত ঘটনাবলি যেমন আলোড়িত করবে তেমনি তাদের মন আবেশিতও থাকবে ঘটনা বর্ণনার সাবলীলভঙ্গি।
এ বইয়ের লেখাগুলির পটভূমি পৃথিবীর বিস্তীর্ণ প্রান্তরজুড়ে। ফলে পাঠক এখানে যেমন বৈশ্বিক এক অবারিত দিগন্তে বিচরণের সুযোগ পাবেন তেমনি পাঠককে সে বিচরণ বিষণ্ণ বিপন্নতায় নিমজ্জিতও করতে পারে। দেশকে নিয়ে লেখকের অন্তরস্নাত লেখাগুলি পাঠকের মনে নিশ্চিতভাবে দেশকে নিয়ে ভাববার অবকাশ সৃষ্টি করবে।
মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম :
জন্ম চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার সুলতানপুর গ্রামে।
অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। মিয়ানমারে চার বছর (১৯৯৯-২০০২) দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ সরকারের কনস্যুলেট প্রধান হিসেবে। খাগড়াছড়িতে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড সদর দপ্তরে কর্মরত থাকার সময় নব্বইয়ের দশকে কাউন্টার-ইনসারজেন্সি অপারেশনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত হয়। তিনি সদর দপ্তর ডাইরেক্টরেট অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সে নিয়োজিত থাকার সুবাদে পার্বত্য শান্তি চুক্তি আলোচনা এবং বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। কিছুদিন পর পুনরায় তিনি 'হার্ট অব ডার্কনেস' হিসেবে খ্যাত ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় 'পিসকিপার' হিসেবে প্রেরিত হন। কঙ্গোয় শান্তিরক্ষী হিসেবে লেন্দু ইনসার্জেন্ট গ্রুপ কর্তৃক জিম্মি হিসেবে আটক সাত নেপালি সৈন্যের উদ্ধার অভিযানে ব্যতিক্রমী, বীরোচিত এবং অসীম সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য তিনি জাতিসংঘ ফোর্স কমান্ডারের সর্বোচ্চ প্রশংসাপত্র লাভ করেন। মেজর এমদাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিনেটের একজন নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। একজন শৌখিন গলফার।
প্রকাশিত বই
খরস্নায়ু (২০১৯), রোহিঙ্গা নিঃসঙ্গ নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠী (২০২০)