বৈদিক ভারত
বিষয় : প্রবন্ধ-নিবন্ধন
লেখক : মাসুম খান
প্রচ্ছদ : চারু পিন্টু
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯৩৪২৮-১-৬
মধ্যযুগের ভারতবর্ষের ইতিহাস বলতে বিচ্ছিন্ন কিছু নবাবী- জমিদারী ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া গেলেও প্রাচীন ভারতের লিখিত কোনো ইতিহাসের সন্ধান জানা নেই। ভারতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনুসন্ধান ও রচনার সূত্রপাত মূলত বৃটিশ শাসনামলে আলেকজান্ডার কানিংহাম (১৮১৪-১৮৯৩), বুকানন হ্যামিলটন (১৭৬২-১৮২৯), ইউলিয়াম জোন্স প্রমুখ পণ্ডিত কর্তৃক ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এশিয়াটিক সোসাইটির মধ্য দিয়ে হলেও জার্মান পণ্ডিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাক্স মুলারের (১৮২৩- ১৯০০) হাতে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অধ্যাপক ম্যাক্স মুলার প্রয়াত হওয়ার প্রায় বিশ বছর পরে ভারতীয় সভ্যতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। সিন্ধু অববাহিকায় হরপ্পা- মহেঞ্জোদারো এবং আরো পরে ষাটের দশকে সরস্বতী অববাহিকায় রাখিগরহি, লোথাল, কালিবঙ্গানসহ প্রায় ২৬০০টি প্রত্নক্ষেত্রের নিদর্শন পাওয়া যায় এবং এর মধ্যে ২০০০টি প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা আবিষ্কার হয় শুধু মাত্র সরস্বতীর অববাহিকায়।
প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার এত আবিষ্কারের পরেও এখনো ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাস আলোচনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ম্যাক্স মুলারকেই অনুসরণ করা হচ্ছে যা কিনা সিন্ধু, সরস্বতী সভ্যতা আবিষ্কারের পূর্ববর্তী অভিমত। প্রচলিত মতের বাইরে থেকে প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষায় রচিত গ্রন্থসমূহের তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ করে আলোচ্য প্রবন্ধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।