শিরোনাম : ভাটিপাড়া জমিদার পরিবারের ইতিহাস
(প্রথম খন্ড)
বিষয় : ইতিহাস
লেখক : মিছফার আহমেদ চৌধুরী
প্রকাশক : খড়িমাটি
প্রচ্ছদ : ভাটিপাড়া জামে মসজিদ
প্রথম সংস্করণ : ২০২২
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭২
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
ISBN : 978-984-96570-9-5
মূল্য : ৫০০/-
আমরা ইতিহাস পড়ি কিন্তু যে ইতিহাস দেশের জনপ্রবাহকে অবলম্বন করিয়া প্রস্তুত হইয়া উঠিয়াছে, যাহার নানা লক্ষণ, নানা স্মৃতি আমাদের ঘরে বাইরে নানা স্থানে প্রত্যক্ষ হইয়া আছে, তাহা আমরা আলোচনা করি না বলিয়া ইতিহাস যে কী জিনিষ, তাহার উজ্জ্বল ধারণা আমাদের হইতে পারে না।' - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই তো একমাত্র ধারনা থেকে জানা-অজানা বেরিয়ে আসে। মানুষের ইতিহাস। ভাঙতে ভাঙতে যে ইতিহাস নির্মাণ হয়। কাল বদলের ইতিহাস কিংবা বয়ে যায় সময়ের সমান্তরাল স্রোতে। মানুষের বিবর্তন মূলত বদলে যাবার ধরন। রূপান্তর হতে হতে পরিবেশ-তৎসংলগ্ন বিকাশের ইতিহাস।
মানুষের সম্পর্কের ইতিহাসও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। মানুষ মানিয়ে নিয়েছে নিজেকে সভ্যতার বদলে যাবার হিসেবের সাথে। মানুষ ছুটেছে নিজেকে জানার জন্য। নিজেকে অজস্র চিহ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিস্মরণ করে তুলেছে।
তাই হয়তো মানুষের সাথে মানুষের, সমাজে চিরকালীন বন্ধন সৃজনের রূপক হয়ে ধরা দেয়। এই তো ইতিহাস, সে ইতিহাস সাধারণ্যে ধরা দেয়। মানুষের আলোড়নের সরলরেখায় রাজনীতি, সমাজনীতি ও অর্থনীতির এক ঐন্দ্রজালিক প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
পৃথিবীর জয়যাত্রায় কিংবা জীবনচর্যায় সময়ের নিদর্শনকে ইতিহাস দিয়ে ধরে রাখতে হয়। অঞ্চল বা জনপদের সাথে মানুষের সখ্যতা, কিংবা বসবাসের উপায় খুঁজে নেয়া। সেই অনুযায়ী গোত্র ও কাঠামো আলোচনায় লিপিবদ্ধ করে রাখা।
ইতিহাসে বলা যায়, মানুষের শৌর্য-বীর্যের কথা, আবির্ভাব থেকে পরম্পরা কাটিয়ে যাবার কথা। জয়যাত্রার কথা।
'ভাটিপাড়া জমিদার পরিবারের ইতিহাস' বইয়ে রয়েছে এক দাপুটে অঞ্চলের মানুষের বসবাসরীতি কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিদর্শনের বহু কথা।
মিছফার আহমেদ চৌধুরী ভাটিপাড়ার ভূমিপুত্র। নিজের অজানাকে জানতে গিয়ে এই ইতিহাস লিখতে শুরু করেন। বংশ পরম্পরা কয়েকযুগ পেরিয়ে সংগঠিত হওয়া জীবনকে তুলে ধরেছেন। জীবনের এই বয়নরীতি থেকে লেখক নিজের শেকড় সন্ধান করে গেছেন। এই বই থেকে এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ বাণিজ্য ও সম্পদ বণ্টনের বীজ বা শক্তি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে।
এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকাশকও থেকে নতুন মানব সংস্করণের ভাব ও বিবর্তনের ইতিহাস পাওয়া যাবে।
অভিবাসন মানুষকে চঞ্চল করে, নতুন জীবনচর্যা দান করে। সেখান থেকে এই বই আরো ভিন্নরকম ইতিহাস জানা যাবে। মহাকালের প্রেক্ষাপটে সময়ের নথিরূপে এই বই সমাদৃত হবে।