শিরোনাম : মকবুল আলী সওদাগর: বংশ পরিচয়
বিষয় : ইতিহাস
লেখক : মকসুদ আহমদ
প্রকাশক : খড়িমাটি
প্রচ্ছদ : মনিরুল মনির
প্রথম সংস্করণ : ২০২০
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭২
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
ISBN : 978-984-8241-32-5
কিছু কথা লিখে রাখতে হয়। ইতিহাসের কথা বলছি। সময় যদি হয় অনেক দূরের, স্মৃতির, সবটুকু হয়তো পাওয়া যায় না। তাই সময়ে সময়ে লিপিবন্ধ হওয়া জরুরি। এই জনপদের পারিবারিক ইতিহাস ও পরিচয় যদি লিখে রাখা যায়, তাহলে মানুষের সামাজিক ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে। গবেষকদের জন্য ধারনা মিলবে। অবারিত হবে নতুন ইতিহাস লেখায়। বাণিজ্যের বসতির এই বন্দর শহর চট্টগ্রাম ইতিহাসের মোড়কে মোড়া। বহুভাবে থাকা ইতিহাসের মানুষগুলোকে খুঁজতে চাই। মকবুল আলী সওদাগর ব্রিটিশ ভারত থাকাকালে চট্টগ্রাম-বার্মার একজন প্রখ্যাত বণিক ছিলেন। তার বাণিজ্য তরী বঙ্গোপসাগর ডিঙিয়ে রেঙ্গুন ছুঁয়ে আবার ভিড়তো কর্ণফুলীর ঘাটে। একসময় সদরঘাটে যে বাণিজ্য বসতি গড়ে ওঠেছিল, এর পেছনের ইতিহাসে তিনি জড়িয়ে আছেন। নগরকেন্দ্রিক মানুষের বসবাসের ইতিহাসেও তিনি এক অনন্য পথিক। বাণিজ্যের পরিব্রাজক।
এই বইয়ে মকবুল আলী সওদাগরের বংশ পরিচয় লিপিবদ্ধ হলো। কোথা থেকে কোথায় ধরে রাখা যায়, তা হয়তো বংশ-শৃঙ্খলে পাওয়া যাবে না। তবে একটা পরম্পরা রক্ষা হয়েছে যে, তার বংশের কিছু মানুষকে জানা যাবে। অনেকেই এখন স্বস্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। লেখক মকসুদ আহমদ এই বংশেরই উত্তরাধিকার বহন করে যাচ্ছেন। তিনি চেষ্টা করেছেন সকলের চিহ্ন এখানে ধরে রাখতে।
হয়তো এই বই প্রকাশের পর আরো তথ্য বের হবে। সেই আশায় এই বইটি পাঠকের কাছে তুলে দিলাম।
¦¦¦¦
মনিরুল মনির
কবি
মকসুদ আহমদ :
জন্ম: ১ মার্চ ১৯৩৩ নিমতলা মকবুল আলী সওদাগর বাড়ি চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ (তৎকাল ব্রিটিশ ভারত)
পিতা আবদুল হালিম ও মা তম্বিয়া খাতুনের ৪র্থ সন্তান। ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়।
১৯৫১ সালে মুসলিম হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। এরপর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। বাণিজ্য বিভাগে ডিগ্রি অর্জন করার পর চাটার্ড একাউন্ড কোর্স সম্পন্ন করেন।
১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (চউক) অডিট অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালে অবসর নেন।