"আত্মচরিতে চট্টগ্রামের ইতিহাস"
ইতিহাস মিউজিয়ামে রাখা মোমের পুতুলের ন্যায় স্থির নয়। বরং, স্রোতস্বিনী নদীর জলরাশির মতো প্রবহমান। নদীর ঢেউয়ে যেমন পুরানো ডাঙ্গা ভেঙে নতুন ডাঙ্গার জন্ম হয়। তেমনি কালের স্রোত পুরানো সভ্যতা বিনাশ করে নতুন সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। শতাব্দী জুড়ে কালের স্রোতে ঢেউয়ে ঢেউয়ে সভ্যতার ভাঙা-গড়ার ঘটনা হলো ইতিহাস। কালের গতি বৈচিত্র্যময়। পাহাড়ী ঢল কিংবা বন্যা প্রবাহ যেভাবে নদীর গতিপথ পাল্টে দেয়। যুদ্ধ, মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ তেমনিভাবে মানবসভ্যতার ইতিহাস বদলে দেয়। নদীর জোয়ার ভাটার মতোই নানা ঘাত-প্রতিঘাতে ইতিহাস এগিয়ে যায়।
আত্মচরিতে চট্টগ্রামের ইতিহাস বইটি যেন কোনো প্রমোদ নদীর নান্দনিক বর্ণনা। নদীর নানামুখী
উৎসের মতো স্মৃতি, কথোপকথন ও গবেষণা হতে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ওঠে আসে বইটিতে। পরিবার, সমাজ ও চট্টগ্রামের টুকরো-টুকরো এসব ইতিহাস শেষাবধি একটি কোলাজে পরিণত হয়। বর্তমানে যা ঘটছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে; তা অনেকাংশে অতীত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই বিশ্বাস অতীতের কাব্যিক আবেদন সঞ্চারিত করে। পূর্বে কি ঘটেছিল তা জানার তীব্র এক আগ্রহ জাগিয়ে তুলে।
আত্মচরিতে চট্টগ্রামের ইতিহাস বইটি ইতিহাস সম্পর্কে আবেগ উদ্দীপনা তৈরির পাশাপাশি অতীত সম্পর্কে পাঠককে কৌতূহলী করবে এবং চট্টগ্রামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
।।।
নাজিম উদ্দিন
জন্ম: এপ্রিল ১৯৭৫
তিনি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অভিজ্ঞ প্রভাষক, পরীক্ষক ও নিরীক্ষক এবং একজন পুরস্কার বিজয়ী উদ্যোক্তা। দীর্ঘদিন পশ্চিমা রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করা সত্ত্বেও নাজিম উদ্দিন মাতৃভূমির সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ রেখে চলেছেন। যা তাকে এই অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের একজন সবল সমর্থক ও প্রচারক হতে প্রেরণা জুগিয়েছে।
একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে নাজিম উদ্দিন সকল বয়সী মানুষকে চট্টগ্রামের অধিবাসী সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক ও ঐতিহাসিক জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করেন। যেন প্রত্যেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ, বহুমুখী, গভীর ও বিশ্লেষণামূলক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়।
এ কারণে একটি স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে যখন নাজিম উদ্দিনকে নিজ পিতার জীবন কাহিনী লিখার অনুরোধ করা হয় তখন তিনি সে আরজি গ্রহণ করেন। এই বইয়ের মাধ্যমে নিজ পরিবারের গল্প তিনি সকলের মাঝে তুলে ধরেন।
এই কাজে তিনি পদ্ধতিগত, সুবিন্যস্ত ও সচেতনভাবে এগিয়ে যান। নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রামে বসবাসরত তার পারিবারিক সদস্যদের প্রাসঙ্গিক, ঐতিহাসিক, জেনেটিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস জানতে চেয়েছেন। পারিবারিক সদস্যদের গল্প বলার অনুরোধ এবং ঐতিহাসিক জ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহ মিলিত হয়ে বইটি রচিত হয়। যেখানে চট্টগ্রামের অধিবাসীদের তথ্যপূর্ণ বর্ণনা সংযুক্ত হয়েছে।
২০২৪