তোমাকে বুঝিনি থিও
বিষয় : চলচ্চিত্র
লেখক : সৈকত দে
প্রচ্ছদ : খালিদ আহসান
সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৯২
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯২৯০১-৭-৯
কালো ও অন্ধকার গ্রিসের কথা বলছি, যেখানে সামরিক শাসনের শাপ থেকে মুক্তি চাইছে মানুষ। গ্রিসের রাজনীতির সবচেয়ে কঠিন সময়টি আজকের বিশ্ব- রাজনীতির বড় উদাহরণ। হিম হয়ে যাওয়া প্রকৃতি, আলো না দেখা পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে চাইছি। সেই রাজনীতি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী কী ফারাক থাকতে পারে, বুঝতে চাই। পাঠ করতে চাই মানুষের কাছে কতটা মানুষ সরল হয়ে উঠে কিংবা জটিল আবর্তে ঘুরতে থাকে। যেখানে ভালবাসা নেই সেখানে কেবল রক্ত, রক্তের ভেতরে আরেক পৃথিবী প্রতিদিন জেগে ওঠে। কখনও কখনও শূন্যতা পেয়ে বসে। সেখান থেকে জেগে ওঠে নতুন ভালবাসা।
ভালবাসা ও সম্পর্কের দিকটিতে ছিলেন থিও। গ্রিসে মানুষের জীবনের টানাপোড়েন। টুকরো হওয়া স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ ডিঙিয়ে সামরিক, অস্বচ্ছ শক্তির প্রবেশ। সেখানকার ভাঙা স্বপ্নের টুকরোগুলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে সেলুলয়েডে ধারণ করতে সে লড়াই, সে লড়াইটা একজন সিনেমা প্রেমীর প্রকৃত অহংকার। থিও এনজেলোপুলুসের ধ্যান, অনুপাঠ আমাদের প্রভাবিত করে।
আমরা সিনেমাগুলো দেখতে দেখতে মানবিককাণ্ডের ইতিহাস খুঁজতে থাকি। ইতিহাস জীবস্ত। কখনও কখনও কেঁপে কেঁপে উঠে। তখন পৃথিবীতে চলছে ভাঙা-গড়া। চারিদিকে বিচ্ছিন্ন কিংবা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়া মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার প্রচেষ্টা।
কোথায় সেই স্বর্গ-নরক?
যেখানে থিও প্রকৃত অর্থে দৃষ্টান্তগুলো অনন্য-অসাধারণ করে রেখে যেতে চাননি। তিনি শুধুমাত্র মানুষের কাছে মানুষকে যেতে বলেছেন। মনের কাছাকাছি পৌঁছতে বলেছেন। এই তাল, এই বৃত্তে এক উন্মাদনার পথ তিনি রপ্ত করেছেন জীবন থেকে। রহস্য ঘেরা রাজনীতিকে বারবার ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছেন। কিন্তু কোথাও জানি একটা আটকে পড়া পুনর্জাগরণকে খুঁজতে খুঁজতে দৃশ্যকল্প নির্মাণ করতে থাকেন। আমরা থিও এনজেলোপুলুসের শৈশবকে ভীষণরকমভাবে পেয়েছি, দেখেছি রাস্তা-বাড়ি-ঘর ও জীবনের পোড়াচিহ্ন নিয়ে পুরো গ্রিস হেঁটে চলেছে প্রত্যেক সিনেমায়।
থিও এনজেলোপুলুস দর্শনকে দর্শকের মগজে মগজে ছিটিয়ে দিয়েছেন। আর এই সিনেমার কথাকে নিজস্ব প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন সৈকত দে। ভাষা বদল করেছেন কয়েকটি সাক্ষাৎকারের।
যাহোক খড়িমাটি থেকে থিও এনজেলোপুলুসের সিনেমা নিয়ে কিছু পাঠ। স্বাগতম, পাঠিকা!
....
মনিরুল মনির