SHOP BY CATEGORY

সিনেমা ও হেজিমনি : জাহেদ সরওয়ার (সিনেমা-২০১৯)

(0 Reviews)
In stock
Estimate Shipping Time: 1 days

Sold By:
Inhouse product

Price:
৳250.000 /pc
Discount Price:
৳187.500 /pc

Quantity:

Total Price:
Share:

সিনেমা ও হেজিমনি
বিষয় : চলচ্চিত্র
লেখক : জাহিদ সরওয়ার
প্রচ্ছদ : মনিরুল মনির
সংস্করণ : জানুয়ারি ২০১৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬৮
ভাষা : বাংলা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৮০৫২-২৪-২

চলচ্চিত্র আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে মানুষ এই মাধ্যমকে ভালবেসেছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলচ্চিত্র এমন বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা ও ঘৃণা অর্জন করেছে যে যা আর কোনো মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্ভবপর হয়নি। গতিই চলচ্চিত্রের সাধনা। তলস্তয় বলেছিলেন গতিকেই দেবোপম করেছে চলচ্চিত্র। অন্যদিকে মাক্সিম গোর্কি বলেছিলেন, এই অসামান্য সম্ভাবনাময় মাধ্যম কিছুদিনের মধ্যেই বুর্জোয়ারা দখল করবে আর তখন তাদের সিনেমার নাম হবে 'যে নারী নগ্ন হচ্ছে'। মাস সার্বাইবাররা সব কিছুতেই মুনাফা চায়। অচিরেই দুনিয়ার বুর্জোয়ারা দখল করে নিয়েছে এই মাধ্যম। তারা অন্যান্য মাধ্যমের মতো এটাকেও ব্যবহার করছে তাদের ক্ষমতা শাসন শোষণকে প্রতিষ্ঠা ও টিকিয়ে রাখতে এবং শাসন শোষণের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করতে। হলিউড বলিউড ঢালিউডে চলছে শস্তা আবেগ ও পরস্পরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার অজস্র চলচ্চিত্র। শুধু তাই নয়, হিংসা ও হিংস্রতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন রঙিন ধারণার জন্ম দিচ্ছে এই মাধ্যমে। দেখা যাবে সিংহভাগ বাণিজ্যিক সিনেমায় বুর্জোয়াদের তৈরি করা আবেগ ও তা রক্ষা করতে অবর্ণনীয় হিংসা উৎপাদন করে চলে তথাকথিত নায়ক। এখান থেকেই বইয়ের নামকরণ 'সিনেমা ও হেজিমনি'। বুর্জোয়াদের স্বাভাবিক আবেগগুলি প্রেম সেক্স চুরি রবারি হত্যা প্রতিশোধ এসবের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সিনেমা। হেজিমনি পদটা রাশিয়ান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে উৎপত্তি বা ব্যবহার শুরু হলেও এটা জনপ্রিয় করে তোলেন আন্তনিও গ্রামসি। এটা শুধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জনের ভেতর সীমাবদ্ধ নয়, অধিকন্তু অর্জিত ক্ষমতা বজায় রাখার পুঁজিবাদী শ্রেণির পদ্ধতি। গ্রামসি বলেন, একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাদী সমাজে বুর্জোয়া আধিপত্য বা শাসন বজায় রাখতে হেজিমনির ভূমিকা অপরিসীম।
বুর্জোয়াদের শাসন শোষণ জারি রাখতে তাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনে আজ সিনেমা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহৃত। এই প্রবন্ধগুলোতে সিনেমা কীভাবে সেটা করে তার সামান্য তালাশ করা হয়েছে হলিউড ও বলিউড পর্বে। এই মাধ্যমে ক্রমশ গতি বদলাচ্ছে প্রথমে গাড়িতে ক্যামেরা বেঁধে এরপর ক্রেন শট এখন ড্রোন ক্যামেরা। এই দেবোপম গতি সে ব্যবহার করে সূক্ষ্মভাবে তার দখলকৃত বাজারে কলোনিতে সে নিরন্তর ছড়িয়ে দিচ্ছে সেসব। বাণিজ্যের রাজনীতি চলচ্চিত্রকেও গ্রাস করেছে। বাংলাদেশি সিনেমা সম্পর্কে বলা যায়, বাংলাদেশে মেইনস্ট্রিম সিনেমায় সত্তর আশির দশকে যে পরিমাণ সফল বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরি হয়েছিল আর যে পরিমাণ স্টার তৈরি করেছিল এখন সেসব কই? রাজ্জাক, ফারুক, জসিম, ওয়াসিম, উজ্জল, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, সোহেল রানা, মাহমুদ কলি ইত্যাদি। নায়িকাদের মধ্যে সুজাতা, ববিতা, অলিভিয়া, অঞ্জু ঘোষ এদের যে বৈচিত্র্য সেটাও হারিয়ে ফেলেছে দেশীয় চলচ্চিত্র। এদেশে চলচ্চিত্র বিকশিত না হওয়ার পেছনে প্রচুর কারণ আছে। এরমধ্যে কাচি নিয়ে বসে আসে সেন্সর বোর্ড। এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। সারা দুনিয়ায় সিনেমা এখন বিরাট ইন্ডাস্ট্রি প্রতিদিন সে নিজেকে বদলে নিচ্ছে নতুন নতুন টেকনোলজিতে কিন্তু আমাদের দেশীয় সিনেমা এখনও ধুঁকছে। প্রতিদিন কমছে সিনেমা হল। প্রতিদিন কমছে দর্শকের সংখ্যা। কেন? সেসব প্রশ্ন কে করবে? উত্তরই বা দেবে কে? ঢাকাই সিনেমার চারজন পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম সেসব। এখানে যুক্ত হয়েছে সেই কথোপকথনগুলো। অথচ কত স্বাবলীলভাবে ভারতীয় বিভিন্ন ভাষার সিনেমা এখন আমাদের ঘরে ঘরে। কত বৈচিত্রময় সেসব সিনেমা। ভারতীয় সিনেমা ও সঙ্গীতের এই জোয়ার দেশিয় সংস্কৃতিকে ক্রমশ কোণঠাসা করছে সে সব নিয়ে কয়েকটি লেখা আছে এখানে। অবশ্য এই বাণিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে শৈল্পিক সিনেমারও একটা বিরাট ধারা তৈরি হয়েছে ইরানে, ভারতে, স্পেনে, ইতালিতে, ফ্রান্সে। লাতিন আমেরিকায় তৈরি হচ্ছে প্রতিরোধের সিনেমা। হলিউড বলিউড ঢালিউড এভাবেই সাজানো হয়েছে লেখাগুলো। চলচ্চিত্র বিষয়ে আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই, স্রেফ একজন দর্শক ও পাঠক। লেখাগুলোর মধ্যে সার্বিকভাবে আমার দৃষ্টিভঙ্গিই প্রতিফলিত হয়েছে।
¦¦¦¦
জাহেদ সরওয়ার
ঢাকা
১৩.০১.২০১৯

There have been no reviews for this product yet.