বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাচীন দ্বীপ সন্দ্বীপ। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পর্যটন সম্ভাবনাময় জনপদটিকে সাগর ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন আলাদা করেছে, তেমনি এই অঞ্চলের জনসাধারণকে দান করেছে একটি ভিন্নধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। ঝড়, জল, নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই ভূখণ্ডের মানুষকে সরল, উদার, পরিশ্রমী, আত্মপ্রত্যয়ী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী করেছে। একই সঙ্গে করেছে একটি ভিন্নতর সংস্কৃতির উত্তরাধিকার।
একটি দেশের সভ্যতার প্রকৃত মাপকাঠি হলো তাঁর শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। শিল্প ও সংস্কৃতির মধ্যে একটি বড় আসন নাটকের।
সন্দ্বীপের নাট্যচর্চার ইতিহাস অনেক পুরনো। এখনও এই মাধ্যমের চর্চা অব্যাহত আছে। নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অর্থনৈতিক, সামাজিক নানা কারণে এই ভূখণ্ডের শিল্প ও সংস্কৃতিমনা মানুষদের অনেকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থানে। ফলে এই মানুষগুলোর সম্মিলিত প্রয়াসের অভাবে শিল্পের এই শাখাটি আগের মত সমৃদ্ধ হতে পারছে না। তারপরও থেমে নেই চর্চা। নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে নাট্যপ্রেমী মানুষগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের নাট্যচর্চা। তবে সন্দ্বীপের নাট্যশিল্পের চর্চাকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা, আধুনিক সরঞ্জামাদি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন।.
।।।
শারমিন মুস্তারীঃ-
পিতা ডা: দেলওয়ার হোসেন মাতা সুফিয়া বেগম জন্য ৮ জুন ১৯৮১, চট্টগ্রামে পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার রহমতপুর গ্রামে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এম. ফিল এবং পিএইচ,ডি।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক।
লেখালেখির শুরু ছাত্রাবস্থায়। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ উনগল্প (গল্প), নজরুল নাট্যসমীক্ষা (প্রবন্ধ) এবং রিজিয়া রহমানের উপন্যাস: বিষয় ও নির্মিতি (প্রবন্ধ), মীর মশাররফের গদ্য: নানা প্রবন্ধ (প্রবন্ধ)।
২০২৪