প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী
শিক্ষাজীবনে অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান অর্জন করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পিএইচডি করেন ২০০৪ সালে। তাঁর অভিসন্দর্ভের বিষয়: বাংলার মুসলিম সমাজ ও রাজনীতি (১৯২৫-১৯৪০)।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৭ সালে প্রভাষক পদে যোগদানের পর ২০০৪ সালে প্রফেসর পদে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দু-বার ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি, আইইআর-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৬ মার্চ ২০২৪ থেকে তিনি উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলা ও ইংরেজিতে তাঁর বহু গবেষণামূলক মননশীল প্রবন্ধ- নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল ও পত্রিকায়। একজন মুক্তবুদ্ধির চিন্তক ড. সেকান্দর চৌধুরীর চর্চার বিষয় আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক মানব-ইতিহাস। বিশেষত হাজার বছরের বাংলা-বাঙালির আত্মাপরিচিতি-স্বাতন্ত্র্য, বিদ্রোহ সংগ্রাম ও জাগরণী তাঁর আরাধ্য টেক্সট। এই গবেষকের মানসরাজ্য কেবল রাজরাজড়ার জয়-পরাজয় উত্থান-পতনের ধূসর তমসুক নয়। সমাজ ও রাজনীতির অবগুণ্ঠিত চাপা পড়া বা অনালোকিত অধ্যায়ও তাঁর অনুসন্ধানে আলোকিত। উপরন্তু সমসাময়িক ঘটনাবলির একজন মনস্বী ও অগ্রগামী পর্যবেক্ষকের নিরীক্ষায় তিনি ঘটনার পারম্পর্য এবং পেছনের প্রেক্ষিত নিরীক্ষায়ও ব্রতী।
।।।
সমসাময়িককালে লেখা কয়েকটি প্রবন্ধের সংকলন এই গ্রন্থ। লেখাগুলোর মূল বিষয়বস্তু বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা তথা রাজনীতি। উভয় ক্ষেত্রেই অনিবার্যভাবে জড়িয়ে রয়েছেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির প্রত্যয়ে রাজনীতির যে পথরেখা তিনি গড়েছেন সেই পথকেই আলোকিত করে চলেছেন বঙ্গবস্তুতনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত ও প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর নিরন্তর প্রচেষ্টা বর্তমানে বিশ্বসভায় সমাদৃত।
একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগ স্বপ্নের আগল ভেঙে এখন বাস্তব। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো প্রকল্প বিশ্ব দরবারে শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্যের বার্তাই পৌঁছে দিচ্ছে। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যার এই অবিরাম ছুটে চলা থামাতে তাঁকেই চিরতরে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টাও ঘটেছে বারংবার। কিন্তু অদম্য শেখ হাসিনা বাঙালির সংশপ্তক হয়ে একের পর এক সাফল্যের পালক যুক্ত করে চলেছেন। তাঁর এই বিজয়রথকে স্পর্শ করার ক্ষুদ্র প্রয়াস এই গ্রন্থ।
২০২৪